• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 September, 2024

ধরমবীরের সোনা, প্রণবের রুপো

প্যারালিম্পিক্সে ভারতের  ঘরে পদকের ছড়াছড়ি

অলিম্পিক গেমসে ভারতের প্রতিযোগীরা সেইভাবে নজর কাড়তে পারেননি। পদক জয়ের আশায় দেশবাসী অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু হতাশ করেছেন প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগীদের কাছ থেকে ভালো ফলাফলের জন্য সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু সেই প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া হল না। তাই প্যারা অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স প্রথম থেকেই সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। বুধবার রাতে প্যারালিম্পিক্সে আবার একটি সোনা ভারতের ঘরে। এফ৫১ ক্লাব থ্রো ইভেন্টে সোনা জিতলেন ধরমবীর। একই ইভেন্টে রুপো পেয়েছেন ভারতের প্রণব সুরমা। এ বারের প্যারালিম্পিক্সে এই প্রথম একই ইভেন্টের প্রথম দুই স্থানে শেষ করলেন দু’জন ভারতীয়। পাঁচটি সোনা-সহ ভারতের মোট পদকসংখ্যা এখন ২৪।

ধরমবীরের প্রথম চারটি প্রয়াসই ‘ফাউল’ হয়। কিন্তু পঞ্চম থ্রোয়ে তিনি ৩৪.৯২ মিটার দূরে ক্লাব ছোড়েন। একটি থ্রোয়েই সোনা নিশ্চিত হয়ে যায় তাঁর। অন্য দিকে প্রণব নিজের দ্বিতীয় থ্রোয়ে ৩৪.৫৯ মিটার ছোড়েন। তবে স্বদেশি ধরমবীরের দূরত্ব পেরোতে পারেননি তিনি। এই ইভেন্টে তৃতীয় ভারতীয় তথা ২০১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের রুপোজয়ী অমিত কুমার সারোহা ২৩.৯৬ মিটার ছুড়ে সবার শেষে শেষ করেছেন। সার্বিয়ার ফিলিপ গ্রাওভাচ ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

এফ৫১ ক্লাব থ্রো ইভেন্ট সেই প্রতিযোগীদের জন্য যাদের শরীরের নীচের অংশ, হাত বা পায়ের নড়াচড়া সীমিত। সব প্রতিযোগীই বসে ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। ক্লাব ছোড়ার জন্য তাঁদের কাঁধ এবং বাহুর শক্তির উপর নির্ভর করেন।

হরিয়ানার সোনিপতে নিজের গ্রামে ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন ধরমবীর। কোমরের নীচের অংশ অসাড় হয়ে যায়। সতীর্থ প্যারা-ক্রীড়াবিদ সারোহার পরামর্শে প্যারা-স্পোর্টসের সঙ্গে পরিচয় ধরমবীরের। দু’বছরের মধ্যে তিনি ২০১৬ প্যারালিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন। তার পর থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছেন। ২০২২ এশিয়ান প্যারা গেমসে পদক জিতেছেন তিনি।

এদিকে, প্রণব ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট এবং রোলার হকি খেলতে ভালবাসতেন। কিন্তু ১৬ বছর বয়সে তাঁর মাথায় এক দিন সিমেন্টের চাঙর ভেঙে পড়ে। মেরুদণ্ডে বড় চোট লাগে। তাঁরও শরীরের নীচের অংশ অসাড় হয়ে যায়। পরিবারের সমর্থন এবং ইতিবাচক মানসিকতার সাহায্যে তিনি প্যারা-স্পোর্টসে আসেন। পড়াশোনাতেও তিনি ভাল। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯১.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। তার পর দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করেছেন। আপাতত একটি সরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে কর্মরত। তার পাশাপাশি খেলাও চালিয়ে যাচ্ছেন।