লড়াই করেও ইস্টবেঙ্গল জয় পেল না অলটিনের বিপক্ষে

প্রত্যাশা নিয়ে বেশকিছু সমর্থক মাঠে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে জেতানোর জন্য। এমনিতেই ইস্টবেঙ্গলের জন্য একটা প্রবাদবাক্য সবসময়ই খেলা করে, তা হল বিদেশি দলের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ ফুটবলাররা জ্বলে ওঠেন। বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা জ্বলে উঠলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসতে পারলেন না। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর যোগ্যতাঅর্জন পর্বের ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের অলটিন আসির বিরুদ্ধেও জ্বলে উঠেছিল লাল-হলুদ মশাল। সমর্থকরাও দারুণভাবে উৎসাহিত করেছিলেন ফুটবলারদের। তবুও সেই জয়ের হাসি হাসতে পারলেন না সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করেও ২-৩ ব্যবধানে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবের কাছে হেরে গেল।

প্রতিপক্ষ বিদেশি দল হলে কী হবে, কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা কোনও সময়ের জন্যই লড়াই থেকে সরে থাকেননি। । শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। খেলার ৭ মিনিটের মধ্যে এগিয়েও যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠে নন্দকুমার বক্সের মধ্যে বল দেন ডেভিডকে। ডেভিড দারুণ গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি করে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবটি। তাদের সেই প্রচেষ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে লাল-হলুদ সমর্থকদের উচ্ছ্বাস স্তিমিত করে দেয়। ১৭ মিনিটে দুরন্ত শটে অলটিন আসির হয়ে সমতা ফেরান মিরাত আনায়েভ। এই গোলের পর মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেন অলটিনের ফুটবলারেরা। তাদের দাপটে কিছুটা তাল কাটে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলের। মাঝমাঠে ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। যদিও ২৭ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন অলটিনের নুরমিরাদভ সেলিম।
পিছিয়ে পড়ার পরেও ইস্টবেঙ্গলের খেলায় তেমন মরিয়া ভাব চোখে পড়েনি প্রথম পর্বের বাকি সময়।

বরং বিকল্প পরিকল্পনার অভাব চোখে পড়েছে। ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও হাল ছাড়েননি ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত। দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ ফুটবলারেরা অনেক উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দিলেন। অলটিনের ফুটবলারদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই চালালেন। খেলায় ফিরে এসে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। যদিও ৫২ মিনিটে অলটিনকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মিহাইল টিতোভ। আনায়েভের শট প্রভসুখন গিল আটকে দিলে ফিরতি বলে পেয়ে গোল করেন তিনি।


এরপরও আশা ছাড়েননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা। বরং মরিয়া লড়াই চালিয়ে যান। ৫৯ মিনিটে সাউল ক্রেসপোর গোলে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। ক্রেসপোর গোলটা ছিল দেখার মতো। প্রতিপক্ষের চার-পাঁচ জন ফুটবলারকে কাটিয়ে করা তাঁর ছবির মতো গোল বহু দিন মনে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।

এই হারের ফলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর মূলপর্বে যেতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। তবে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পাবে ইস্টবেঙ্গল।