• facebook
  • twitter
Tuesday, 5 November, 2024

অস্ট্রেলিয়ার জয়ে কামিন্সের ব্যাট ঝলসে উঠল

অধিনায়কচিত ব্যাট করে কামিন্স বুঝিয়ে দিলেন ক্রিকেট যুদ্ধে তিনি এখনও বড় মাপের রান করতে দ্বিধা বোধ করেন না।

জয়ের মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল।

পুরনো চাল ভাতে বাড়ে এই প্রবাদ বাক্যটা ক্রিকেট মাঠেও দারুণভাবে চালু আছে। সেই কথাই দেখতে পাওয়া গেল অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের একদিনের ম্যাচে। তাইতো অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে দিলেন প্যাট কামিন্স। তাঁর ব্যাট ঝলসে উঠেছিল পাকিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে। কামিন্সের ব্যাট থেকে আসা রানে অস্ট্রেলিয়া প্রথম একদিনের ক্রিকেট ম্যাচে ২ উইকেটে জয় তুলে নিল পাকিস্তানকে হারিয়ে।

টেস্ট হোক এক দিনের ম্যাচ, দরকার পড়লেই দলের উদ্ধারকারী হয়ে ওঠেন প্যাট কামিন্স। সোমবার আরও এক বার সেই খেলা দেখতে পাওয়া গেল। দলের বিপদের সময়ে কামিন্সের ব্যাটে জিতল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম এক দিনের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল ২ উইকেটে। আগে ব্যাট করে ২০৩ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৩৩.৩ ওভারে সেই রান তুলে নেয়।
টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই সাইম আয়ুবকে (১) হারায় তারা। কিছু ক্ষণ পরে ফেরেন আবদুল্লা শফিকও (১২)। দলের হাল ধরেন সেই দুই পুরনো সেনাপতি বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান। বিশ্রামের পর দলে ফিরে বেশ স্বচ্ছন্দই লাগছিল বাবরকে। দু’জনে ভালই খেলছিলেন। তবে ৩৭ রানে বাবর ফিরে যান। কিছু ক্ষণ পরে ফেরেন কামরান গুলাম (৫)। রান পাননি আঘা সলমনও (১২)।

রিজওয়ান (৪৪) ফিরতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ১১৭ রানে ৬ উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের। সেখান থেকে দলকে টানেন বোলাররা। শাহিন আফ্রিদি (২৪) এবং নাসিম শাহের (৪০) সৌজন্যে দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য এই রান খামতি ছিল। তবে পাকিস্তানের মতোই শুরুটা ভাল হয়নি অসিদের। দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট (১) এবং জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (১৬) বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ারও বড় জুটি হয় তৃতীয় উইকেটে। স্টিভ স্মিথ (৪৪) এবং জশ ইংলিস (৪৯) জুটিতে তোলেন ৮৫ রান। এই দু’জন ফেরার পর অস্ট্রেলিয়া একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারায়।

তারপরই দলের হাল ধরেন কামিন্স। অধিনায়কচিত ব্যাট করে কামিন্স বুঝিয়ে দিলেন ক্রিকেট যুদ্ধে তিনি এখনও বড় মাপের রান করতে দ্বিধা বোধ করেন না। তাঁর ব্যাট থেকে চারটি চারের সাহায্যে ৩১ বলে ৩২ রান করে দলকে জিতিয়ে দিলেন। তাই দর্শকরা বড় গলায় বলতে পারেন প্যাট কামিন্স জয়ের সারথি হতে অনেককেই ছাপিয়ে যাবেন।