বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চে এবার ব্যর্থ হতে হল কামিনসকে

দিল্লি— ১৯ নভেম্বর আমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷ সেই দলের অধিনায়ক প্যাট কামিনস আবার সেই মাঠে টস করতে নামলেন৷ এবার তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক৷ টসের পর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই মাঠকে কি আপনি সেকেন্ড হোম বলবেন! এখানে বিশ্বকাপ জয়৷ তারপর আবার আইপিএলে খেলতে এসে এই মাঠে টস করতে নামা৷ কামিনস উত্তর দিতে পারেননি৷ বলেছেন, জানি না একে সেকেন্ড হোম বলতে পারব কিনা৷ তবে এখনও সেদিনের স্মৃতি আমার কাছে তাজা৷ মাঠ ভর্তি লোকের সেই চিৎকার এখনও যেন কানে বাজে৷ টানা দশ ম্যাচ জিতে ভারতীয় দল ফাইনালে খেলতে নামার সময় গ্যালারির চেহারা যেমন হওয়া উচিত ছিল, ঠিক তেমনই ছিল৷ আশা করি এদিনও গ্যালারি ভরে যাবে৷

সবই প্রায় হল কিন্ত্ত ফারাক একটা থেকেই গেল৷ ট্র্যাভিস হেড, প্যাট কামিনসদের এই মাঠে মাথা নীচু করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল৷ পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিনস৷ গুজরাটের কাছে তাঁরা হেরে গেলেন ৭ উইকেটে৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ করল ৮ উইকেটে ১৬২ রান৷ গুজরাট তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল৷

আগের ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে যে ঝড় হায়দরাবাদের ক্রিকেটাররা দেখিয়েছিলেন, সেটা এদিন দেখা গেল না৷ কী করে হবে! হেড (১৯), ক্লাসেন (২৪), অভিষেক শর্মা (২৯)রা খুব তাড়াতাডি় আউট হয়ে গেলে কী করে হায়দরাবাদ বড় রান তুলবে৷ তারপর যে দলে রশিদ খানের মতো স্পিনার আছেন, তাদের বিরুদ্ধে মারকাটারি ইনিংস খেলা যায় না৷ সেটাই হল৷ তবে সবাইকে চমকে দিয়েছেন মোহিত শর্মা৷ যিনি নেট বোলার হিসেবে দলে এসেছিলেন, তিনি প্রথম একাদশ ঢুকে পডে় একটার পর একটা চমক দিচ্ছেন৷ এদিন চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেলেন৷ এই পারফরম্যান্স দলকে জেতাল, সঙ্গে মোহিতের হাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও তুলে দিল৷


২০ ওভারের ম্যাচে ১৬২ রান করে এখন জেতা যায় না৷ সেটাই আবার প্রমান করে দিল গুজরাট৷ ঋদ্ধি (২৫), গিলরা (৩৬) বড় রান না পেলেও ওবার প্রতি রানের গড় বাডি়য়ে দিলেন৷ ৯ ওভারে ৭৪ রানে ২টি উইকেট পডে় গেলেও সাই সুদর্শন ( ৪৫) ও ডেভিড মিলাররা (৪৪) কোনও সুযোগ দিলেন না কামিনসদের৷ ফলে ম্যাচের পাঁচ বল বাকি থাকতে গুজরাট সাত উইকেটে জিতে গেল৷