যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে এসে জামশেদপুর এফসি কলকাতার দুই প্রধানের হার স্বীকার করেছে। শনিবার ইস্টবেঙ্গল দিমিত্রিয়াস দিয়ামানতা কোসর গোলে জয় পাওয়ার পরে লিগ টেবলে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল। এই জয়ে লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো ফুটবলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তেমনি জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামাল তাঁর দলের খেয়োয়াড়দের তারিফ করে বলেছেন, সক্রিয় ভূমিকা দেখে অভিভূত। কোচ খালিদ কলকাতা ছাড়ার আগে বলেন, আমরা কখনই আক্রমণ থেকে সরে থাকিনি। খেলার প্রথম পর্বে আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের মধ্যে খেলা হয়েছে। গোল করবার মতো আমরা বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিলাম।
তবে গোল আসেনি। দ্বিতীয় পর্বে একই ধারায় খেলার সময় গড়িয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল একটা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জয়ের মুখ দেখেছে। কোনও কোনও দিন ভাগ্য সুপ্রসন্ন না থাকায় গোল পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। গোল হজম করার পরেও, গোল করা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আবার বলছি আমাদের ফুটবলাররা বেশ ভালো খেলেছেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এখন পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। পরের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স দলের সঙ্গে লড়াই করতে হবে ঘরের মাঠে তাই ২৯ ডিসেম্বর কেরলকে হারিয়ে ইংরাজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় থাকবো।
আবার ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো দারুন খুশির ফুটবলারদের পারফরমেন্সে। জামশেদপুরের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় এসেছে কিন্তু আক্ষেপ থেকে গেল সুযোগ নষ্ট নিয়ে। বিশেষ করে আনোয়ার আলি ও ক্লেটন সিলভাকে আলাদা চোখে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, দলের সম্মিলিত আক্রমণে যে সুযোগগুলো তৈরি হয়েছিল তা থেকে গোল হলে আমরা বড় ব্যবধানে জিততে পারতাম। সেই আপশোষ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল। মিনিশিংটা ভালো হলও, আরও পরিশ্রম করা দরকার। তবে দল ক্রমশ আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে এবং ছন্দে ফিরছে। এটাই খেলোয়াড়দের কাছে বাড়তি পাওয়া এখন লক্ষ্য শেষ ছয়ে নাম লেখানো। ‘এদিকে অনেকেই বলছেন, লাল হলুদ ব্রিগেডের কোচ হিসেবে অস্কার ব্রুজকে প্রথম থেকে পাওয়া গেলে এমন অবস্থার সামনে দাঁড়াতে হতো না।