আসন্ন বিশ্বকাপে ধোনির অভিজ্ঞতাই ভারতের প্রধান হাতিয়ার : ক্লার্ক

মাইকেল ক্লার্ক

দিল্লি, ১৪মার্চ- অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে নেমে প্রথমবার বিরাটদের একদিনের ক্রিকেটে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ, এরপর অজিরা ভারতের মাটিতে খেলতে নেমে দশ বছর পর এখানে অস্ট্রেলিয়া দলের সিরিজ জয়। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের আগে দুটি দল তাঁদের বিদেশ সফরে খেলতে নেমে নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। সদ্য শেষ হওয়া পাঁচটি একদিনের ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটি ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গিয়ে সিরিজে পিছিয়ে পড়ার পর  অজি ক্রিকেটাররা যেভাবে কামব্যাক করল টানা তিনটি ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সিরিজের শিরোপা হাতে তুলে নিয়ে প্রমাণ দিয়ে দিয়েছে। চার বছর আগে ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের খেতাব নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার পর ইংল্যান্ডের মাটিতে চার বছর পর শিরোপা নিজেদের মুঠোয় রাখার জন্য অজিরা যে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে সেটা তাঁদের ভারত সফরে সিরিজ জয় দেখে পরিষ্কার ভালভাবে বোঝা গেল। আর ঘরের মাঠে হারার প্রতিশোধটা যে শুধু তারা এখানে এসে যায় নেয়নি, তাদের নিয়ে যে সমালোচনা চলছিল সেটার প্রমাণ তারা ভারতের মাটিতে দিয়ে দিয়েছে। কোনও অংশেই তাঁরা পিছিয়ে নেই তাও পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়ে গেছে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক জানান, ‘অসাধারণ কামব্যাক করেছে অস্ট্রেলিয়া দল। ঘরের মাঠে ভারত বরাবরই শক্তিশালী দল হিসাবে পরিচিত । তার উপর বর্তমানে বিরাটের নেতৃত্বে গোটা ভারতীয় দল যেভাবে নিজেদের খেলা মেলে ধরেছে সেখান থেকে তাদের বিরুদ্ধে জয় করাটা সত্যিই একটা বিশাল ব্যাপার । বিশ্বকাপের আগে অজিদের কাছে ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজটা জয়টা আলাদা করে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসে জোর বাড়াবে সেটা আমি এখন থেকে বলে দিতে পারি। আর অজি ক্রিকেটাররা নিজেদের ভুলত্রুটিগুলি পুরোপুরি শুধরে নিয়ে নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরেছে তা দেখে খুব ভাল লাগছে। যদি তাঁরা এইভাবে নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে তা হলে বিশ্বকাপের আসরটা জমে যাবে সেটা আমি এখন থেকে বলে দিতে পারি।’

‘কখনোই মহেন্দ্র সিং ধোনির গুরুত্বটাকে খাটো করে দেখা যাবে না । ধোনির মধ্যে যা অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটা আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের প্রধান হাতিয়ার হবে সেটা আমি এখন থেকে বিশ্বাসের সঙ্গে বলে দিতে পারি। মিডল অর্ডারে ধোনির উপস্থিতি এবং উইকেটের পিছনে থেকে বোলারদের গাইড করা একটা বিশাল ব্যাপার। ধোনির উপস্থিতি এবং তাঁর অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ভারতীয় দল অনেকটা সামনের দিকে এগোবে সেটা আমি এখন থেকে বলে দিতে পারি। সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে কুলদীপ ও চাহালকে আমি কিছুটা বাইরের দিকে এবং খারাপ বোলিং করতে দেখেছি। কারণ, এই দুই স্পিনার উইকেটের পিছন থেকে ধোনির গাইড পায়নি। তাই তাঁরা নিজেদের মতো করে বোলিং করতে গিয়ে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সেই অর্থে ধোনিকে ভারতীয় দলের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে পারি’ , এমন কথাও জানান প্রাক্তন অজি অধিনায়ক।