• facebook
  • twitter
Thursday, 30 January, 2025

সিনিয়র জাতীয় টেবল টেনিসে সিন্ড্রেলার ব্রোঞ্জ

দলগত বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে রেলওয়েজের কাছে হেরে যায় বাংলা। কিন্তু সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে সিন্ড্রেলা। সেমিফাইনালে সে পরাস্ত হয় দিয়া চিতালের কাছে।

ফাইল চিত্র

বাংলার কিশোরী টেবল টেনিস খেলোয়াড় সিন্ড্রেলা দাস এবারে সিনিয়র জাতীয় টেবল টেনিস প্রতিযোগিতায় পদক জিতে সবার নজর কেড়ে নিল। এই প্রথম বার সে সিনিয়র স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েই পদক জেতার কৃতিত্ব দেখাল। এর আগে জুনিয়র জাতীয় টেবল টেনিসে পদক জিতে বাংলাকে গর্বিত করেছিল ১৫ বছর বয়সী সিন্ড্রেলা এবারে সিনিয়র জাতীয় টেবল টেনিসে শুধু নজর কাড়ল না, নিজেকে প্রমাণ করল আগামী দিনে সে তারকা টেবল টেনিস খেলোয়াড় হতে চলেছেন।

১৮ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত গুজরাতের সুরাতে ছিল সিনিয়র জাতীয় টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা। সেখানে সিঙ্গলস ও দলগত বিভাগে নামে সিন্ড্রেলা। দলগত বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে রেলওয়েজের কাছে হেরে যায় বাংলা। কিন্তু সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে সিন্ড্রেলা। সেমিফাইনালে সে পরাস্ত হয় দিয়া চিতালের কাছে। দিয়া ভারতের মহিলা টেবল টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই কম কৃতিত্বের নয়। শেষ পর্যন্ত দিয়াই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এই প্রতিযোগিতায়।

পাশাপাশি ‘মাস্টার ডি বিশ্ব’ ট্রফি জিতেছে সিন্ড্রেলা। ডি বিশ্ব নিজেও টেবল টেনিস খেলোয়াড় ছিল। চার বছর আগে সিনিয়র প্রতিযোগিতা খেলতে গুয়াহাটি থেকে শিলং যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। বিশ্বর স্মৃতিতে প্রতি বছর সেরা উঠতি টেবল টেনিস খেলোয়াড়কে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বার সেই পুরস্কারে সম্মানিত হল সিন্ড্রেলা।

পদক জেতার পরে সিন্ড্রেলা জানিয়েছে, প্রথম বার সিনিয়র প্রতিযোগিতায় পদক পেয়ে সে খুশি। তবে পথচলা সবে শুরু। সিন্ড্রেলা আরও বলে, “গত বছর প্রথম বার সিনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতা খেলেছিলাম। পদক পাইনি। এ বার ব্রোঞ্জ জিতলাম। এটাই সিনিয়র জাতীয় প্রতিযোগিতায় আমার প্রথম পদক। পাশাপাশি ডি বিশ্ব ট্রফিও পেয়েছি। এই সম্মান আমাকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে ভালো খেলার জন্য।”

সামনে টানা খেলা রয়েছে সিন্ড্রেলার। ৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর ইয়ুথ স্ম্যাশ খেলতে যাবে সে। ফিরে এসে বরোদায় ইয়ুথ কন্টেন্ডার রয়েছে। তার পর চেন্নাইয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বাংলার টেবল টেনিসের নতুন মুখ সিন্ড্রেলা দাস।