চেলসির কোচ এঞ্জো মারেস্কা ফুটবলারদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সময়ের মধ্যে দল না ছাড়লে তিনি এক মিনিটের জন্য তাঁদের সঙ্গে রেয়াত করবেন না। শুক্রবারের মধ্যে সই না করলে তাঁদেরকে চেলসিতেই থেকে যেতে হবে। এমন ফুটবলার হলেন রহিম স্টার্লিং ও বেন চিলওয়ালের মতো খেলোয়াড়রা। কোচ মারেস্কা যে সমস্ত ফুটবলারদের পছন্দ করেন না, তাঁদের দল ছাড়তে বলে দিয়েছেন। তাঁরা যদি দল না ছাড়েন, তখন তাঁদের খেলাবো কিনা, যথেষ্ট সন্দেহ আছে। প্রিমিয়ার লিগে চলতি মরশুমে প্রথম একাদশে স্টার্লিংরা কোনও সুযোগই পাচ্ছিলেন না।
তবে কোনও কোনও সময় পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে তাঁদেরকে মাঠে নামানো হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, দলের সঙ্গে অনুশীলনে তাঁদের জায়গা দেওয়া হচ্ছিল না। স্বাভাবিকভাবে এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলতেই পারা যায়, কোচ তাঁদের পছন্দ করছেন না। সেই কারণেই তিনি ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের অন্য দলে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যদি জোর করে ওই সমস্ত ফুটবলাররা দলে থেকে যান, তাহলে খেলানোর কোনও প্রশ্নই থাকবে না। অর্থাৎ তাঁরা বিপদেই পড়বেন।
এরপরে আবার আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ট্রান্সফার উইন্ডো খুলবে। তাই ততদিন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে তাঁদের দিন কাটাতে হবে। এবারে কোচ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সে যতবড়ই ফুটবলার হোক না কেন, পছন্দের তালিকায় তিনি যদি জায়গা না পান, তাহলে খেলানোর কোনও কথাই উঠতে পারে না। এটা শুধু স্টার্লিংয়ের জন্য প্রযোজ্য, তা নয়। সকলের জন্য এই নির্দেশ। তবে, স্টার্লিং ভালো মানুষ হতে পারেন, কিন্তু একটা সময় তো মাঠে যাঁকে প্রয়োজন হবে, তিনিই হবেন দলের কাছ অপরিহার্য। সেই জায়গাটা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। তাই দলে আর প্রয়োজন নেই স্টার্লিংয়ের।
এটাও মনে রাখতে হবে, সব কোচ একই ধারায় প্রশিক্ষণ দেন না। তাই কোচ যেভাবে দলকে পরিচালিত করবেন, ঠিক সেইভাবেই ফুটবলারদেরও খেলতে হবে। গত মরশুমে চেলসির সহ অধিনায়ক ছিলেন চিলওয়াল। তাঁকেও প্রয়োজন নেই বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন কোচ মারেস্কা। তাই বলতে দ্বিধা নেই, কোচই শেষ কথা বলবে দল গঠনে এবং অনুশীলনের নীতি কী হবে। চেলসির কর্মকর্তারা কোচের কথাকে সমর্থন করে বলেছেন, আমরা চাই দলের পারফরম্যান্স। তার বাইরে কেউই থাকতে পারবেন না।