• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রিয়াল মাদ্রিদ কি পারবে লা লিগায় সর্বোচ্চ অপরাজিত থাকার বার্সেলোনার রেকর্ড স্পর্শ করতে?

এমনকি বার্সেলোনার ঠিক পিছনেই অবস্থান করছে তারা। বার্সেলোনা অর্জন করেছে ১৮ পয়েন্ট। আর ঠিক তার পরেই রিয়াল ১৭ পয়েন্ট পেয়ে পিছু নিয়েছে বার্সেলোনার। এক কথায় বলা যায়, বার্সেলোনার ঘাড়ে জোরালো নিঃশ্বাস ফেলছে।

সবুজ গালিচার ওপর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে। মঙ্গলবার আলাভেসকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে গোল করেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার। যদিও ম্যাচ শুরুর প্রথম এক মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লুকাস। এরপরই এমবাপের দাপট শুরু হয়ে যায়। ৪০ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। যার জেরে ম্যাচ হাসিল করা সহজ হয়ে যায় রিয়ালের পক্ষে। এই ম্যাচের একটি গোল নিয়ে পঞ্চম গোলটি করেছেন। ফলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় উঠে এসেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন বার্সেলোনার রবার্ট লেয়নডস্কি।

এদিকে এই ম্যাচে জয়ের ফলে পয়েন্টের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে এমবাপের দল। এমনকি বার্সেলোনার ঠিক পিছনেই অবস্থান করছে তারা। বার্সেলোনা অর্জন করেছে ১৮ পয়েন্ট। আর ঠিক তার পরেই রিয়াল ১৭ পয়েন্ট পেয়ে পিছু নিয়েছে বার্সেলোনার। এক কথায় বলা যায়, বার্সেলোনার ঘাড়ে জোরালো নিঃশ্বাস ফেলছে। অন্যদিকে বুধবার গেটাফেকে হারাতে পারলেই বার্সেলোনার ঝুলিতে আরও তিন পয়েন্ট যাবে। বার্সেলোনা রিয়ালের থেকে চার পয়েন্টে এগিয়ে যাবে। এই ম্যাচ জিততে পারলে রিয়ালকে অনেকটা পিছনে ফেলে দেবে। আর সেই সম্ভাবনাই বেশি। কারণ মঙ্গলবার আলাভেসের সঙ্গে খেলার সময় বড়সড় চোট পেয়েছেন এমবাপে। বাঁ পায়ের বাইসেপ ফেমোরিসে আঘাত নিয়ে তিনি এখন বিশ্রামে আছেন। তাঁর এই চোট সারিয়ে কবে মাঠে ফিরবেন, সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে চিকিৎসকরা বিষয়টি নজরে রাখছেন।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার ম্যাচ শুরুর প্রথম এক মিনিটে গোল দিলেও পরের গোল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। প্রথমার্ধে বার বার গোলের সুযোগ তৈরি করে কিলিয়ান বাহিনী। কিন্তু সেই সুযোগগুলি সামান্যের জন্যে হাতছাড়া হতে থাকে। এরপর ৪০ চল্লিশ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। ম্যাচ তখনও ২-০ অবস্থাতেই রয়েছে। এরই মধ্যে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল করেন রডরিগো। রীতিমতো রক্তচাপ বেড়ে যায় আলাভেসের। তিন গোল শোধ দেওয়ার মরণপণ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় তারা।

দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে মেরেকেটে দুটি গোল শোধ দেয় তারা। ৮৫ মিনিটের মাথায় কার্লোস বেনাভিডেজ় একটি ও ৮৬ মিনিটের মাথায় গার্সিয়া দ্বিতীয় গোলটি করেন। কিন্তু শেষ গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি আলাভেস। ম্যাচটি শেষমেশ রিয়ালের ঝুলিতেই চলে যায়। এই নিয়ে টানা ২৯টি ম্যাচে জয়লাভের পাশাপাশি টানা ৩৯টি ম্যাচে অপরাজিত আছে রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ বাকি দশটি ম্যাচে ড্র করে তারা। মঙ্গলবারের ম্যাচ জয়ের পর সর্বোচ্চ অপরাজিত ম্যাচের নিরিখে প্রথমবার এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এর আগে রিয়েল সোসিয়াদেদের সঙ্গে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় ছিল রিয়াল মাদ্রিদ।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত লা লিগাতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ম্যাচের রেকর্ড ভাঙার দৌড় থেকে অনেকটা পিছিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। কারণ লা লিগাতে একমাত্র বার্সোলোনার সর্বোচ্চ ৪৩টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড রয়েছে। সেই রেকর্ড স্পর্শ করতে হলে রিয়ালকে আরও চারটি ম্যাচে অপরাজিত থাকতে হবে। কাকতালীয়ভাবে এবার লা লিগার ৪৩তম ম্যাচটি আগামী ২৭ অক্টোবর। আর সেই ম্যাচটি রিয়ালের বিরুদ্ধে বার্সেলোনার। ফুটবল প্রেমীরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, বার্সেলোনার সেই সর্বোচ্চ অপরাজিত ম্যাচের রেকর্ড রিয়াল মাদ্রিদ স্পর্শ করতে পারে কিনা, তা দেখার জন্য।