ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দুটি টি-২০ ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের ভারত খুব সহজেই জয় তুলে নিয়েছিলেন। অর্থাৎ ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও তৃতীয় ম্যাচে ধাক্কা খেতে হল। হারতে হল ইংল্যান্ডের কাছে ২৬ রানে ভারতকে। এই ম্যাচে বাংলার মহম্মদ শামির প্রত্যাবর্তন হলেও তিনি নিজেকে প্রকাশ করকে পারলেন না একজন প্রথমসারির বোলার হিসেবে। সেই জায়গায় বরুণ চক্রবর্তী ধারাবাহিকভাবে যেভাবে উইকেট তুলে নিচ্ছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে চলতি সিরিজে ভারতের সবেচেয়ে ভরসার নাম বরুণ চক্রবর্তী।
এই ম্যাচ জিতলেই সূর্যকুমারদের হাতের মুঠোয় চলে আসত সিরিজ। কিন্তু ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতা লড়াইয়ে ফিরে এলেন জস বাটলাররা। প্রথমে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের ৯ উইকেটে ১৭১ রান করে। তার জবাবে ভারতের ইনিংস শেষ হল ৯ উইকেটে ১৪৫ রানে। ২৬ রানে হারল ভারত। সিরিজে
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল ভারত। বরুণ চক্রবর্তী এই ম্যাচে ৫টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। তাই খেলার প্রথম পর্বে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। একটা সময় তাঁর হ্যাটট্রিক করার সুযোগ এসেছিল। অল্পের জন্য তা হাতছাড়া হয়ে যায়।
এদিকে ভারতের পয়লাসারির ব্যাটসম্যানরা যেভাবে রান করতে পারলেন না তাতে ইংল্যান্ডের স্পিনাররা বাড়তি মনোবল নিয়ে বল করেন। সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা ও ওয়াশিংটন সুন্দররা যেভাবে ব্যাট করলেন তাতে ম্যাচ জেতা যায় না। জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত ১৪৫ রানে ইনিংস শেষ করে হার স্বীকার করে নেয়। ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করেছিলেন মহম্মদ শামি ভারতীয় দলে দীর্ঘদিন বাদে ফিরে আসার পরে হয়তো অঘটন ঘটাবেন। কিন্তু শামির বল ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের চাপে রাখতে পারেনি। বরঞ্চ স্বছন্দে ব্যাট করেছেন। এখন প্রশ্ন শামি যদি পুরোনো ছন্দে না ফিরে আসতে পারেন তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দলে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
