প্যারিস অলিম্পিকে শুটিংয়ে পেয়েছেন ২ ব্রোঞ্চ পদক। তাঁর হাত ধরেই পাল্টে গেছে ১২৪ বছরের পুরনো অলম্পিকের ইতিহাস। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম অ্যাথলিট হিসাবে একই অলিম্পিকে জোড়া পদক জয়ের নজির করেছেন মনু ভাকের। কিন্তু তা সত্বেও তাঁর নাম বিবেচিত হলো না মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য। এই নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি রামাসুব্রাহ্মণ্যমের নেতৃত্বে একটি ১২ সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু, এই বোর্ডের পক্ষ থেকে মনুর নাম মনোনয়ন করা হয়নি। যদিও ভারতের হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, প্যারা অলিম্পিকের সোনাজয়ী প্রবীণ কুমার মনোনয়ন পেয়েছেন।
মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা থেকে কেনো বাদ গিয়েছে মনুর নাম? ক্রীড়ামন্ত্রকের দাবি, মনু নাকি খেলরত্নের জন্য আবেদনই করেননি। আবার মনুর বাবা রামকৃষ্ণ ভাকেরের বক্তব্য, তাঁরা আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কমিটির তরফ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, অলিম্পিকে জোড়া পদক জিতেও কি পুরস্কারের জন্য হাত পাততে হবে?
এই প্রসঙ্গে ফিরে আসছে মহম্মদ শামির ঘটনা। চলতি বছরেই তিনি আবেদন না করেও অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে বিসিসিআই থেকে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, মনুও ২০২০ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন। অক্টোবর মাসে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি কি ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের দাবিদার?’ নেটিজেনরা ট্রোল করায় পরে পোস্টটি ডিলিটও করে দেন। সেটাও ফের আলোচনায় উঠে আসছে। আবার ক্রীড়ামহলের আরেকটা অংশের বক্তব্য, মনুকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তাঁর খেলরত্ন পুরস্কার পাওয়ার সময় অবশ্যই আসবে।