নাগপুর, ৫ মার্চ – ম্যাচের রাশ ঘুরিয়ে দিল ভারতীয় বোলাররা। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে খেলতে নেমে বিরাট কোহলির কেরিয়ারের চল্লিশতম শতরানের উপর ভর করে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দল ২৫০ রানে ইনিংস গুটিয়ে ফেলে। ২৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি অ্যারোন ফিঞ্চ ও উসমান খাওয়াজা। প্রথম উইকেটে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ যোগ করে দিলেও, ছয় বলের ব্যবধানে ফিঞ্চ ও খাওয়াজাকে প্যাভিলিয়ানে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে সাফল্য এনে দেন কুলদীপ ও কেদার। এরপর শন মার্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আউট হয়ে গেলে, পিটার হ্যান্ডসকম্ব আটচল্লিশ রান করে দলকে আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করে। আর ঠিক তখন থেকেই ভারতীয় বোলারদের কামব্যাক শুরুটা করলেন কুলদীপ। এরপর ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট বুমরার হাত ধরে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ধস নেমে যায়। কিন্তু একা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মারকাস স্টোনিস। ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন এনে নিজের খেলাটা মেলে ধরেন। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল এগারো রানের। কিন্তু, বিরাট কাকে বোলিংয়ে আনবেন এবং শেষ ওভার কাকে করাবেন সেটা নিয়ে ধোনির সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত হন। কারণ বিরাটের হাতে ছিল শঙ্কর ও কেদার যাদব। তবে, কেদার আট ওভার বল করে এক উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন, এবং শঙ্কর এক ওভার বল করে তেরো রান খরচ করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিরাট বল তুলে দেন শঙ্করের হাতে। আর অধিনায়কের মান রাখলেন শঙ্কর। প্রথম বলেই স্টোনিসকে এল বি ডব্লু আউট করে খেলায় ভারতের জয় নিশ্চিত করে দেন। দ্বিতীয় বলে জাম্পা দু’রান নিলেও তৃতীয় বলে জাম্পাকে প্যাভিলিয়ানে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় এনে দিলেন বিজয় শঙ্কর। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমে যায় তিন বল বাকি থাকতে ২৪২ রানে। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে আট রানে জয় তুলে নিয়ে ভারত ঘরের মাঠে জয়ের ধারাবাহিকতা যেমন বজায় রাখলেন ঠিক তেমনই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। ভারতীয় দলের বোলারদের দাপটে শেষ ছয়টি উইকেট অস্ট্রেলিয়ার পতন হয় মাত্র একাত্তর রানের মধ্যে।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজে পরাজিত হওয়ার পর বিশাখাপত্তনমে পাঁচটি একদিনের ম্যাচের প্রথমটিতে খেলতে নেমে ভারতীয় দলকে সুন্দর জয় উপহার দেন কেদার যাদব ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দল যে খুব ভালো করে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে সেটা আর বলার উপেক্ষা রাখে না। এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একদিনের ক্রিকেট সিরিজ জিতে আশার রেশটা যে তাঁদের মধ্যে পুরপুরি কেটে যায়নি তাঁরা যে ফর্মের মধ্যে রয়েছেন সেটা আবারও প্রমাণ করে দিয়ে যায়।