অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী ভারতের তারকা শুটার মনু ভাকের ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারে সম্মানিত করার জন্য প্রাথমিক পর্বে তাঁর নাম না থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এমনকি ক্রীড়া দপ্তরের কাছে সেই বিতর্কের ঝড় পৌঁছে গিয়েছিল। সবারই প্রশ্ন ছিল, সাফল্যের জন্য যে ক্রীড়াবিদকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়, সেই ক্রীড়াবিদের নাম কেন ভাবা হয়নি? তারপরেই ভারত সরকারের ক্রীড়া দপ্তরের কর্মকর্তাদের টনক নড়ে। শেষ পর্যন্ত সেই বিতর্ককে সরিয়ে দিয়ে তারকা শুটার মনু ভাকেরকে খেলরত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হবে বলে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলেন মনু ভাকের। যে চারজনের নাম এই তালিকায় রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলেন মনু ভাকের। এ বাদে এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু ডি গুকেশ, প্যারা অলিম্পিকে সোনাজয়ী অ্যাথলিট প্রবীণ কুমার ও অলিম্পিক্স গেমসে ভারতীয় হকে দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং। হকি খেলোয়াড় হরমনপ্রীতরা অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক পান। খেলরত্ন সম্মানের পাশাপাশি অর্জুন পুরস্কারের তালিকায় ৩২ জন ক্রীড়াবিদের নাম উঠে এসেছে। এই ৩২ জনের মধ্যে ১৭ জন প্যারা অলিম্পিক্সে সফল অ্যাথলিটস। সম্মানিত ক্রীড়াবিদদের হাতে আগামী ১৭ জানুয়ারি ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পুরস্কার তুলে দেবেন।
মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার ভারতীয় ক্রীড়াবিভাগে সর্বোচ্চ সম্মান। এই সম্মান প্রাপকেরা ২৫ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি একটি ট্রফি এবং শংসাপত্র দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, প্রথমে এই খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য মাত্র ৭.৫ লাখ টাকা দেওয়া হত। ২০২০ সাল থেকে তা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়।
মনু ভাকেরের পাশাপাশি দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডি গুকেশকেও খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হবে। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে চিনের দাবাড়ু ডিং লিরেনকে হারিয়ে দেন গুকেশ। সে কারণে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে। সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে গুকেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেন।
হরমনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় দল প্যারিস অলিম্পিক্সে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করলেও, ব্রোঞ্জ পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতকে। ভারত টানা দ্বিতীয়বার ব্রোঞ্জ পদক জয় করে। হরমনপ্রীত সিংয়ের পাশাপাশি দেশের প্যারা অ্যাথলিট প্রবীণ কুমারকেও খেলরত্ন সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
২০২৪ প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে প্রবীণ ভারতের হয়ে হাই-জাম্প ইভেন্টে (টি-৬৪) সোনার পদক জয় করেছিলেন। এর পাশাপাশি টোকিও অলিম্পিক্সেও তিনি রুপোর পদক জয় করেন। প্যারালিম্পিক্সে ভারতের হয়ে এই অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।