কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়র ডিভিশনের খেলায় দাপটের সঙ্গে খেলেছে ভবানীপুর ক্লাব। লিগের খেলা দেখে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন, হয়তো এবারে চ্যাম্পিয়ন্সিপের লড়াইয়ে বড় পদক্ষেপ রাখবে। এমনকি সুপার সিক্সের খেলায় যেভাবে শুরুটা করেছিল, তার ভাটা পড়ে যেতেই এখন সেই ভাবনা থেকে অনেকটাই সরে দাঁড়িয়েছে ভবানীপুর। কিন্তু এখন তাঁদের লক্ষ্য অন্তত কলকাতা লিগে তারা রানার্স আপ হতে পারে। তাই ভবানপুর ক্লাবের ফুটবলাররা ভালো খেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। শনিবার ভবানীপুর ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল সুরুচি সংঘের বিরুদ্ধে।
এদিন ভবানীপুর ৪-১ গোলে হারিয়ে দিল সুরুচি সংঘকে। খেলার শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে ভবানীপুর আক্রমণ গড়ে তুলেছিল। তবে মাঝেমধ্যে সুরুচি সংঘের ফুটবলাররাও আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করেছিলেন বারাকপুর স্টেডিয়ামে। কিন্তু ভবানীপুরকে সেইভাবে চাপে রাখা সম্ভব হয়নি। খেলার শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ এসেছিল ভবানীপুরের। কিন্তু সেই সুযোগটি হাতছাড়া করেন জোজো। সেই জোজোই খেলার ৩০ মিনিটের মাথায় সেই ভুল পুষিয়ে দেন। জোজো গোল করেন ছাংতের পাশ থেকে। তার চার মিনিট বাদে আবার গোল। জোজো ও ছাংতের যুগলবন্দির আক্রমণে সুরুচিসংঘের রক্ষণভাগ বেসামাল হয়ে যায়। সেই অবসরেই আবার গোল করেন জোজো। খেলার প্রথমার্ধেই ভবানীপুর ২-০ গোলে এগিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার আক্রমণ শানাতে থাকেন ভবানীপুরের ফুটবলাররা। তাদের তৃতীয় গোলটি চলে আসে ৪৮ মিনিটের মাথায়। দারুণ গোল করেন জুনাইন। স্বাভাবিকভাবে ৩-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে ভবানীপুরের ফুটবলাররা সময় নষ্ট করার জন্য নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে খেলতে থাকেন। তারই মধ্যে চকিত আক্রমণ গড়ে তোলে ৭১ মিনিটের মাথায়। মাঝ মাঠ থেকে উঠে আসা সৌগত হাঁসদা দুরন্ত গোল করে ভবানীপুরের জয়কে নিশ্চিত করে রাখেন। তারপরও জিতেন মুর্মু গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৮৮ মিনিটে সুরুচি সংঘ গোলের ব্যবধান কমান। গোলটি করেছেন জয়দীপ সিং। এই জয়ের ফলে ভবানীপুর ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করল।