জাতীয় দলে তাঁরা এককালের সতীর্থ। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন একসঙ্গে। এমনকী আইপিএলেও দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হলুদ জার্সিতে। কিন্তু তাঁরা আর পরস্পরের বন্ধু নন। এমনকী একে অন্যের সঙ্গে কথাও বলেন না! কথা হচ্ছে, হরভজন সিং ও মহেন্দ্র সিং ধোনির । না, গুঞ্জন নয়। একথা জানিয়েছেন খোদ ভাজ্জি!
বিশ্বজয়ের দুই টুর্নামেন্টেই ধোনির নেতৃত্বে খেলেছেন হরভজন। নজরকাড়া পারফর্মও করেছিলেন। মাঠে বহু সময় ক্যাপ্টেন কুলের থেকে পরামর্শ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একে অপরের সঙ্গে খোশ গল্পও করতেন তাঁরা। কিন্তু চেন্নাই দলে একসঙ্গে খেলাকালীন মাঠের বাইরে নাকি হরভজনের সঙ্গে কথাই বলতেন না ধোনি! খানিকটা আক্ষেপের সুরেই প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার বলছেন, “না, আমি ধোনির সঙ্গে কথা বলি না। সিএসকে-তে যখন খেলতাম, তখন কথা হত। কিন্তু মাঠের বাইরে নয়। প্রায় ১০ বছর হয়ে গেল, আমাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।”
কিন্তু কী কারণে হরভজনের দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক? ভাজ্জির উত্তর, “আমি জানি না। আমার কথা না বলার কোনও কারণ নেই। হয়তো ওর আছে। তবে সেই কারণ আমি জানি না। তবে চেন্নাইয়ে খেলার সময় মাঠ থেকে বেরলেই আমাদের কথা বন্ধ হয়ে যেত। হোটেলে কেউ কারও রুমেও যেতাম না।” এর পরই যোগ করেন, “আমাকে নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে এতদিনে নিশ্চয়ই (ধোনি) বলত। কিন্তু বলেনি। তাই আমি নিজে থেকে আর কখনও ফোন করিনি। আমি তাদেরই ফোন করি, যারা ফোন তোলে।” ভাজ্জির এহেন মন্তব্যে বেশ বিস্মিত ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। নেটদুনিয়াতেও এনিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এককালের সতীর্থদের এমন দূরত্ব যেন মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।