• facebook
  • twitter
Thursday, 19 December, 2024

সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার জয়ের রথ ছুটছে

বাংলার নরহরি প্রথম ম্যাচ থেকেই গোলের মধ্যে রয়েছেন। প্রতি ম্যাচেই গোল করছেন। তাই দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে নহরহি সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন।

ফাইল ফাইল

বেশ কয়েকবছর ধরে সন্তোষ ট্রফি ফুটবলে বাংলার অবস্থান চোখে পড়ার মতো ছিল না। দু’বার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও, চ্যাম্পিনয় ট্রফি বাংলার ফুটবলারদের হাতে শোভা পায়নি। কিন্তু চলতি মরশুমে কোচ সঞ্জয় সেনের হাতে ব্যাটনটা তুলে দেওয়ার পরে বাংলা দলের চেহারা অনেক বদলে গেছে। বাছাই পর্ব থেকে বর্তমান গ্রুপের খেলায় বাংলার দাপটের কাছে প্রতিপক্ষ দলগুলি দাঁড়াতেই পারছে না। বাংলার সঙ্গে অন্য রাজ্যের দলগুলি লড়াই করতে নেমে ভয়ের আতঙ্কে সময় গুনছে। তাই তো গ্রুপের দুটো ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলা শেষ আটে পৌঁছে গেছে। নিঃসন্দেহে বাংলার ফুটবলাররা দাপট দেখিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতে চলেছে। পরপর তিনটে ম্যাচ জিতে বাংলা জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবে এই জয়ের ফলে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস চরম জায়গায় পৌঁছে গেছে। আগামী শনিবার মণিপুরের বিপক্ষে খেলতে নামবে নরহরি শ্রেষ্ঠারা।

বাংলার নরহরি প্রথম ম্যাচ থেকেই গোলের মধ্যে রয়েছেন। প্রতি ম্যাচেই গোল করছেন। তাই দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে নহরহি সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন। আবার কোচ সঞ্জয় সেন প্রতি ম্যাচে রণকৌশল বদল করে প্রতিপক্ষ দলকে চাপের মধ্যে রেখে দিচ্ছেন। যার ফলে প্রতিপক্ষ দল কোনও ভাবে বাংলার ছক বুঝে উঠতে পারছে না।
আসলে কোচ সঞ্জয় সেন চাইছেন, প্রতিটি ম্যাচে নতুন নতুন ছক তৈরি করে ম্যাচ ছিনিয়ে আনতে। আসলে বিপক্ষ দলের রক্ষণভাগকে কীভাবে ভেঙে দিতে হবে, সেটাই বড় কথা। সব দলকে সমীহ করতে হয়। খেলার শুরু থেকে গোল করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। কোনওভাবে হালকা চালে খেলার কথা ভাবা চলবে না। গোল করে এগিয়ে থাকতে হবে। আক্রমণ তেকে কোনও সময়ের জন্য পিছিয়ে থাকা চলবে না। পরের পর্বে যোগ্যতা অর্জন করতে গেলে রাজস্থানকে হারিয়ে ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও, বাংলা পরবর্তী ম্যাচগুলো সহজভাবে নিতে কোনও সময়ের জন্যে ভাবছে না। গ্রুপে সবকটা ম্যাচ জিতে শীর্ষে থাকতে চায় বাংলা। এর পরেই নকআউট পর্যায়ের খেলা। ওই সময়ে আসল পরীক্ষা। সেই কথা ভেবে বাংলাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।