বাংলার প্রতিপক্ষ নিজেরাই, ওড়িশা নয়

ফাইল চিত্র

নক আউট পর্যায়ের খেলা, তাই শূন্য থেকেই বাংলা দলকে শুরু করতে হচ্ছে। বাংলা তাদের প্রাথমিক পর্ব ও মূল পর্বের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চায়। নিজেদের ফুটবলারদের মনসংযোগ বাড়ানোর দিকেই এখন বাংলার কোচ নজর দিয়েছেন। বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন মনে করেন, ছেলেরা যদি ঠিক রাখতে পারে তবে ভালো ফলাফল হবেই। বাংলার কোচ তার স্কোয়াডের ২২জন ফুটবলারকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়ে তাদের যোগ্যতা যাচাই করে নিয়েছেন। বাংলার কোচ সঞ্জয় সেনের মতে, দলে নির্দিষ্ট কোন ফুটবলার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়, স্কোয়াডের প্রতিটি ফুটবলারই দলের পক্ষে অপরিহার্য।

মূলপর্বের পাঁচটি খেলায় বাংলা দলের একাধিক ফুটবলার গোল করে দলকে জয় পেতে সাহায্য করেছে।বাংলা দলের আক্রমণ ভাগের ফুটবলাররা যেরকম গোল পেয়েছে, তেমনভাবে বাংলা দলের রক্ষণভাগের ফুটবলাররাও আক্রমণে গিয়ে গোল তুলে এনেছে। বাংলা দলের রক্ষণের ফুটবলার রবিলাল মান্ডি রক্ষণকে যেমন তার খেলা দিয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন,তেমনি গোল করিয়ে এবং নিজেও গোল করার ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। মূলপর্বে আক্রমণ ভাগের দুই ফুটবলার রবি হাঁসদা ও নরহরি শ্রেষ্ঠা নিজেদের গোলের করার দক্ষতা বজায় রেখেছেন। মাঝমাঠে দলে সুযোগ পেয়েই বাসুদেব মান্ডি ও আবু সুফিয়ান তাদের নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। টানা ৮ মাস অপরাজিত থেকে বাংলা দল নকআউটে তাদের যাত্রা শুরু করছে।

বাংলা দলের প্রতিটি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ভালো থাকায়, প্রথম একাদশ গঠন করতে কোচ সঞ্জয় সেনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গোলকিপার আদিত্য পাত্র ও সৌরভ সামন্তর মধ্যে যেমন লড়াই হচ্ছে, তেমনি দুই স্টপার পজিশনে তিন ফুটবলারদের মধ্যে লড়াই আছে। জুয়েল আহমেদ,মদন মান্ডি ও অয়ন মন্ডলের মধ্যে কোন দুজনকে খেলাবেন,তা নিয়ে কোচ সঞ্জয় সেন চিন্তায় পড়েছেন।প্রতিপক্ষ হিসেবে উড়িষ্যা দল তেমন শক্তিশালী না হলেও নকআউট পর্যায়ের খেলা হিসেবে বাংলা দল সতর্ক থাকতে চায়। গ্রুপে গোয়া ও তামিলনাড়ুর মতন শক্তিশালী দলগুলোকে পিছনে ফেলে ওড়িশা দলের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাওয়াকে বিশেষ গর্বের বলা যায়।


ওড়িশার মত রাজ্য যেখানে রাজ্যলিগ সঠিকভাবে হয়না এবং যতটা লিগের খেলা হয় তাতে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ক্লাব নেই বলা যায়। এমন কঠিন পরিকাঠামোর থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের নিয়ে গড়া ওড়িশা দলের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনোকে সমীহ করতেই হয়। নিজেদের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে, ওড়িশার কোচ ও প্রাক্তন ফুটবলার অক্ষয় দাস নিজেদের রক্ষণ সামলে তবেই আক্রমণে যেতে চান। যেহেতু নকআউট পর্যায়ের খেলা তাই নির্দিষ্ট সময়ের পরেও অতিরিক্ত সময় ও টাইব্রেকারের বাজিমাত করার সুযোগ আছে।