• facebook
  • twitter
Saturday, 4 January, 2025

কলকাতায় ফিরে আসতেই বাংলা দলের সফল ফুটবলারদের সংবর্ধনা

সন্তোষে ১১ গোল করা রবি হাঁসদার উপরই ভরসা রেখেছিলেন সঞ্জয় সেন। মাঝমাঠের দখল রেখেছিলেন চাকু মাণ্ডি, আদিত্য থাপারা। দুই উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠার দায়িত্ব ছিল আবু সুফিয়ান ও মনোতোষ মাজির উপরে।

ফাইল চিত্র

বুধবার দমদম বিমান বন্দরে সন্তোষ ট্রফি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলের সফল খেলোয়াড়রা ও কোচ সঞ্জয় সেন পা রাখতেই এক ঝাঁক ফুটবল প্রেমীরা অভ্যর্থনা জানান। সবাই আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠেন। আইএফএ-র পক্ষ থেকেও বিশেষ সম্বর্ধনা জনানো হয়।
বাংলার ভূমিপুত্রদের নিয়ে গড়া দল জাতীয় প্রতিযোগিতা সন্তোষ ট্রফি জিতবে। এক সময় ভারতীয় ফুটবলে বাংলা ছিল শীর্ষস্থানীয়। অথচ ৩২ বারের বিজয়ী বাংলা শেষবারের মতো সন্তোষ ট্রফি জিতেছিল ২০১৬-১৭ সালে। তারপর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। গত কয়েক বছর ধরে সেই বাংলা সন্তোষ থেকে ফিরেছে শূন্য হাতে। এই বারের বাংলা ফুটবল দলের কাছে সন্তোষ ট্রফি ফিরিয়ে আনা ছিল রীতিমতো এক চ্যালেঞ্জ। এই বার বাংলা টিমের দায়িত্ব যখন আই লিগ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেনের হাতে দেওয়া হলো তখন হৃত সন্মান পুনরুদ্ধার করা তাঁরও কাছে ছিল অগ্নি পরীক্ষা।

অবশেষে সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান। বাংলার ক্যাবিনেটে আরও একবার ফিরে এসেছে সন্তোষ ট্রফি। ফাইনাল ম্যাচে কেরলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বাংলা। ওই ম্যাচে রবি হাঁসদার শেষ মুহূর্তের গোলে অপরাজিত বাংলা।

সন্তোষে ১১ গোল করা রবি হাঁসদার উপরই ভরসা রেখেছিলেন সঞ্জয় সেন। মাঝমাঠের দখল রেখেছিলেন চাকু মাণ্ডি, আদিত্য থাপারা। দুই উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠার দায়িত্ব ছিল আবু সুফিয়ান ও মনোতোষ মাজির উপরে। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাল ছাড়েননি রবিরা। সুযোগ পেতেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। একটি সন্তোষ ট্রফিতে ১২টি গোল করে ছাপিয়ে গেলেন কিংবদন্তি মহম্মদ হাবিবকেও। আর ম্যাচের শেষে যুদ্ধজয়ের হাসি নিয়ে অধিনায়ক চাকু মাণ্ডি জানালেন, এই জয় কোচ সঞ্জয় সেনকেই উৎসর্গ করতে চান।