রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দলের ওপেনার সমস্যা মিটতে চলেছে

রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে বাংলা দলের মহম্মদ শামির নাম সংযোজিত করা হল। তবে কোনওভাবেই তিনি প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না। আসলে তিনি এখনও পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি। মহম্মদ শামিকে যদি আবার ভারতীয় দলে ফিরে আসতে হয়, তাহলে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁকে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। তা না হলে শামির নাম ভারতীয় দলে কোনওভাবেই বিবেচনা করা সম্ভব হবে না। শামিও চাইছেন বাংলার হয়ে তিনি খেলতে। ইতিমধ্যেই বাংলা দলে আবার খেলার জন্য ত্রিপুরা থেকে ফিরে এসেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ৩২ বছর বয়সী এই উইকেট রক্ষক ঋদ্ধিমানের ব্যাটে ভালো রান আছে। তিনি সাধারণত ওপেন করে থাকেন। তাই বাংলা দলের অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার চাইবেন ঋদ্ধিমানকে দলে রেখে প্রথম একাদশ গঠন করতে। তবে, বাংলা দলে আরও একজন খেলোয়াড় সুদীপ চ্যাটার্জি ত্রিপুরা ছেড়ে চলে এসেছেন। তাঁরও ঠাঁই হয়েছে বাংলার রঞ্জি দলে। তাঁর উপরেও ভরসা রাখতে পারেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সুদীপের অভিজ্ঞতা অবশ্যই কথা বলবে। গত মরশুমে ওপেনিং জুটি নিয়ে বাংলা দলে বিরাট সমস্যার তৈরি হয়েছিল। কোনওভাবেই অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে কে সঙ্গী হবেন, তা নিয়ে বার বার খেলোয়াড় বদল হয়েছে। সেই ভাবনা থেকে এবার কি মুক্তি পাওয়া যাবে? কারণ সুদীপ যদি অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ওপেনার হিসেবে, সেটাও চিন্তার মধ্যে রয়েছে কোচের। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ত্রিপুরাতে যাওয়ার আগে বাংলা দলের হয়ে বেশ কয়েকটি রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন। বাংলার কর্মকর্তাদের উপর অভিমান করেই তিনি ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন। ত্রিপুরার হয়েও তিনি রঞ্জি খেলেছেন।

যাগামী ১১ অক্টোবর রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে বাংলা খেলবে প্রথম ম্যাচ উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচ সবসময় কঠিন হয়ে থাকে। তাই সতর্ক হয়ে খেলতে চান বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলা দলের আক্রমণ কীভাবে সংগঠিত করা হবে, সে বিষয়ে ছক কষবেন, তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কোচের পাখির চোখ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেই লক্ষ্যেই তিনি বড় পদক্ষেপ। গত মরশুমে সৌরভ পালকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ওপেনার হিসেবে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। খুব একটা খারাপও খেলেননি। প্রথম ম্যাচে তিনি ৯৬ রান করে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। পাঁচটি ম্যাচে তিনি ১৮৮ রান করেছিলেন। তাঁর ধারাবাহিকতা অবশ্য শেষ পর্যন্ত থাকেনি। সেই সৌরভকে এবারে প্রথম দু’টি ম্যাচে রাখা হয়নি।

আর সেই সময় সৌরভের সঙ্গে বাংলা দলে অভিষেক হয়েছিল শ্রেয়াংস ঘোষের। তাঁকেও পাঁচটি ম্যাচ খেলানো হয়েছিল। তাঁর মোট রান ছিল ১২৬। তাঁর ব্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে ৪১। অবশ্য সেই সময় অভিমন্যু ঈশ্বরণকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই শ্রেয়াংসকে দলে রাখা হয়েছিল। অভিমন্যু দলে ফিরে আসার পরে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন হাবিব গান্ধি ও রণজ্যোৎ খয়রা। তাঁরা কেউই সেইভাবে রান করতে পারেননি। এই মরশুমে অভিমন্যুকে প্রথম দিকে পাওয়া গেলেও পরবর্তী সময়ে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। যদি নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি ডাক পান, তাহলে তাঁর পক্ষে বাংলা দলের হয়ে খেলা সম্ভব হবে না। তবে প্রথম ম্যাচে তিনি খেলবেন। অভিমন্যুর সঙ্গী সুদীপ চ্যাটার্জি। আগে সুদীপকে তিন নম্বরে খেলানো হত। আবার ত্রিপুরায় গিয়ে মিডল অর্ডারে খেলেছেন। তাই কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা কীভাবে দল গঠন করবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় ভাবনা। উত্তরপ্রদেশের পরেই বাংলা দল ইডেনে খেলবে বিহারের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচটার উপরে নির্ভর করছে আগামী ম্যাচগুলি কীভাবে লড়াই করবে প্রতিপক্ষ দলের কাছে।