সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নের দৌড়ে আরও কাছে বাংলা। মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলা ও কেরল। দুই দলের শক্তি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু না থাকলেও, কোচ সঞ্জয় সেনের কাছে বড় প্রাপ্তি হবে যদি এবারে অপরাজিতভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবে। গ্রুপ পর্যায় থেকে বাংলা এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচেই হারেনি। তাই বাংলার ছেলেরা অনেক বেশি উজ্জীবিত ফুটবল খেলা উপহার দিতে বদ্ধপরিকর। দারুণ ফর্মে রয়েছেন নরহরি শ্রেষ্ঠা ও রবি হাঁসদারা।
সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলার ফুটবলাররা দুরন্ত ফুটবল খেলে ৪-২ গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেসকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে। আট বছর আগে বাংলার ছেলেরা গোয়ার মাঠে শেষবারের মতো সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাই এবারের ফাইনাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিপক্ষ কেরলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এর আগে বাংলা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কেরলের বিরুদ্ধে। সেই খেলায় নির্দিষ্ট সময়ের পরে টাইব্রেকারে কেরল বাংলাকে হারিয়ে দিয়েছিল। তাই মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাংলার ছেলেরা এখন তৈরি রয়েছে।
বাংলার ছেলেরা খেলার প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলে প্রতিপক্ষ দলকে চাপের মধ্যে রেখে দেন। কোচ সঞ্জয় সেনের গোপন অঙ্ককে কাজে লাগিয়ে জয়ের ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে চাইছেন মনতোষ মাঝিরা। নরহরি শ্রেষ্ঠা যেভাবে পুরো দলটাকে গাইড করছেন, তাতে বোঝা যায়, সম্মিলিত আক্রমণ কোন জায়গায় পৌঁছতে পরে। তিনি নিজে যেমন গোল করছেন, আবার সতীর্থ ফুটবলারদের দিয়েও গোল করাচ্ছেন। এককথায় বলা যায়, দলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম নরহরি। রহি হাঁসদা গোলের মধ্যে রয়েছেন।
পাশাপাশি, ইসরাফিল দেওয়ান যেভাবে খেলছেন, তাতে প্রতিপক্ষ দলের রক্ষণভাগ বেশ চাপে থাকবে, তা নিয়ে বলার কিছু নেই। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ইতিমধ্যেই রবি হাঁসদা সেরা গোলদাতাদের জায়গায় পৌঁছে গেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ১১টি গোল করে ফেলেছেন। রবি হাঁসদা সেই রেকর্ডকে স্পর্শ করেছেন। সব ফুটবলাররাই শপথ নিয়েছেন জাতীয় ফুটবলে বাংলাকে জয় তুলে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবেন।
বাংলার সাফল্যকে দেখতে চেয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সোমবার তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েবলেন, এতদিন আমরা বলতাম বাংলার ফুটবল হারিয়ে গেছে। কিন্তু এবারে ছেলেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, বাংলার ঐতিহ্যকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়। অবশ্যই আশা করব, বাংলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলকাতায় ফিরে আসবে। তার জন্য রইল আগাম অভিনন্দন। ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, কোচ সঞ্জয় সেন ও বাংলার অধিনায়ক চাকু মাণ্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তাঁদেরকে উৎসাহিত করেছি ভালো খেলার জন্য। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই তাঁদের পাশে রয়েছেন। তিনিও বাংলার সাফল্য কামনা করেছেন।