• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলার মেয়ে ঐহিকা ও সুতীর্থা টেবলটেনিস ইতিহাসে নাম লিখলেন

প্রথম গেমে জাপানের জুটির কাছে ৪-১১ পয়েন্টে হেরে গেলেও বাংলার ঐহিকা ও সুতীর্থার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়নি। দ্বিতীয় গেমে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় প্রথম থেকে খেললেও তাঁদের হাত থেকে গেমটি চলে যায়।

টেবলটেনিসের ইতিহাসে নাম লিখলেন বাংলার দুই মেয়ে ঐহিকা মুখার্জি ও সুতীর্থা মুখার্জি। এই প্রথম এশিয়ান টেবলটেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন বাংলার এই দুই মেয়ে। এবারের প্যারিস অপিম্পিকে সুতীর্থা মুখার্জি গেলেও ভারতীয় দলের হয়ে কোনও ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু বাংলার এই দুই টেবলটেনিস খেলোয়াড় কাজাকিস্তানে ২৭তম এশিয়ান টেবলটেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে শুধু বাংলার নয়, ভারতের মুখ উজ্জ্বল করলেন। গর্ব করে বলা যায়, ঐহিকা ও সুতীর্থা এই মুহূর্তে ভারতের সেরা টেবলটেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। বাংলার গর্বের মেয়ে ঐহিকা ও সুতীর্থা টেবলটেনিসে যে নজির গড়লেন, তা শুধু প্রশংসার নয়, অভাবনীয়। জাপানের মিউ কিহারা ও মিওয়া হারিমোতো জুটির কাছে হেরে গিয়ে ব্রোঞ্জ পদক পান বাংলার এই দুই মেয়ে।

প্রথম গেমে জাপানের জুটির কাছে ৪-১১ পয়েন্টে হেরে গেলেও বাংলার ঐহিকা ও সুতীর্থার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়নি। দ্বিতীয় গেমে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় প্রথম থেকে খেললেও তাঁদের হাত থেকে গেমটি চলে যায়। তাই দ্বিতীয় গেমে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে জাপানি জুটির কাছে হারতে হয় ১১-৯ পয়েন্টে। আর তৃতীয় গেমে আবার লড়াকু ভূমিকা নিয়ে বাংলার দুই কন্যা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে শেষ পর্যন্ত জাপানি জুটির কাছে হারতে হয় ১১-৮ পয়েন্টে। যদি সেমিফাইনালের এই ম্যাচটি বাংলার জুটি জিততে পারতেন, তাহলে ঐহিকা এবং সুতীর্থার কাছে সোনার পদক পাওয়াটা খুব একটা কঠিন ছিল না। কিন্তু সেমিফাইনালে জাপানি প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যাওয়ায় স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গেল ঐহিকা ও সুতীর্থার।

সেমিফাইনালে শুরু থেকেই ভারতীয় জুটির ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকেন জাপানি খেলোয়াড়রা। পরপর তিনটি গেমে হেরে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন বাংলার দুই মেয়ে। আসলে শেষ আটের খেলায় ঐহিকা ও সুতীর্থা যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার জুটিকে পরাস্ত করেছিলেন, তাতে অনেকেই আশা করেছিলেন, আগামী দিনে তাঁদের কাছ থেকে আরও ভালো ফলাফল পাওয়ার। নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলার এই দুই কন্যার অসাধারণ পারফরম্যান্স সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ফাইনালে না উঠতে পারলেও ভারতকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দেওয়াটা কম গৌরবের নয়। ১৯৭২ সাল থেকে এশিয়ান টেবলটেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়। এই প্রথম এই প্রতিযোগিতায় পদক জয়ের নজির গড়ল ভারত।

অন্যদিকে তাইওয়ানের কাথেছ ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ভারতের পুরুষ খেলোয়াররা। সোমবার রাতে কলকাতায় পৌঁছলেন ব্রোঞ্জজয়ী বাংলার দুই কন্যা ঐহিকা ও সুতীর্থ এবং কোচ সৌরভ চক্রবর্তী বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করে নেন বেঙ্গল স্টেট টেবলটেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন যুগ্ম সচিব শর্মি সেনগুপ্ত। পাশাপাশি দেখা যায়, অভিনন্দন জানাতে বেশ কিছু টেবলটেনিসপ্রিয় মানুষজন বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন।