• facebook
  • twitter
Friday, 11 April, 2025

গ্রুপের শেষ ম্যাচে ড্র করেও মূলপর্বে গেল বাংলা

একেকটি গ্রুপে প্রতিটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। চারটি দল সেখান থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মূলপর্বের খেলা শুরু হবে। ফাইনাল খেলা হবে ২২ ডিসেম্বর।

ড্র হওয়ার মুহূর্তে বাংলা। সংগৃহীত চিত্র

সন্তোষ ট্রফি ফুটবলের মূলপর্বে পৌঁছে গেল বাংলা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বুধবার কল্যাণীর মাঠে বাংলা গোলশূন্যভাবে খেলা শেষ করল বিহারের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলা নকআউট পর্যায়ে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবে কোচ সঞ্জয় সেনের কাছে একটাই লক্ষ্য ছিল, জয় ছিনিয়ে আনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে তিনি পৌঁছতে পারলেন না। তবে, কোনওক্রমে খেলাটি ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগটা তৈরি করে নিলেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলা প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়লাভ করার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তরপ্রদেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলা। জয় পেয়েছিল ৭-০ গোলের ব্যবধানে। সবাই আশা করেছিলেন, শেষ ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে বড় জয় তুলে নিতে পারবে বাংলা।

কিন্তু বাংলার ফুটবলাররা এদিন ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারলেন না। খেলার প্রথম থেকেই আক্রমণে সেইভাবে গতি ছিল না। গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারেনি বাংলা। প্রথম পর্বে যেভাবে বাংলার ফুটবলাররা খেলা শুরু করেছিলেন, তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন, এই লড়াইটা খুব সহজভাবে নিয়েছে বাংলা দল। অনেক সময় দেখা যায়, পচা শামুকে পা কেটে যায়। ঠিক অনেকটাই সেইরকমভাবেই বাংলার অবস্থা দাঁড়িয়েছিল। যদি বিহার জিততে পারত, তাহলে কিন্তু মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্রটা তাদের হাতে পৌঁছে যেত। তবুও ভাগ্য ভালো বাংলা কোনওক্রমে বিহারের সঙ্গে গোলশূন্যভাবে খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়তে পেরেছে।

নকআউট পর্যায়ের খেলাগুলি হবে হায়দরাবাদে। হায়দরাবাদের মাঠে বাংলাকে আরও শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সেই কারণে সাবধানী ভূমিকা নিয়ে কোচ সঞ্জয় সেনকে লড়াইয়ের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। যেখানে নিজেদের মাঠে খেলার যে সুবিধা পাওয়া যায়, সেই সুবিধা কিন্তু ভিনরাজ্যে গিয়ে পাওয়া সম্ভব হয় না। এমনকি দর্শকও উপস্থিত থাকতে পারবেন না বাংলাকে উৎসাহিত করার জন্য। বাংলার ফুটবলাররা যদি সঠিকভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন না করতে পারেন, তাহলে কিন্তু বিপদ ঘনীভূত হবে। নকআউট পর্যায়ে খেলার আগে হাতে বেশ কিছুদিন সময় রয়েছে। তাই কোচ সঞ্জয় সেন নিশ্চয়ই গ্রুপের খেলায় যে ভুলত্রুটিগুলি হয়েছিল, তা শুধরে নিতে পারবেন।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গতবারের দুই ফাইনালিস্ট সার্ভিসেস ও গোয়া সরাসরি মূলপর্বে খেলবে। পাশাপাশি, আয়োজক রাজ্য হিসেবে তেলেঙ্গানাও মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়ে গেছে। বাকি ৩৫টি দলকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে শীর্ষে থাকা দলগুলি মূলপর্বে খেলবে। মূলপর্বে ১২টি দলকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। একেকটি গ্রুপে প্রতিটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। চারটি দল সেখান থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মূলপর্বের খেলা শুরু হবে। ফাইনাল খেলা হবে ২২ ডিসেম্বর।

বলতে দ্বিধা নেই, মূল পর্বে বাংলার আসল লড়াই দেখতে পাওয়া যাবে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সেরা দলগুলি খেলার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। বিশেষ করে গোয়া, কেরল এবং মণিপুরের মতো শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। বলতে দ্বিধা নেই, বিভিন্ন রাজ্যের সেরা দলগুলি বাংলা থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। সেই কারণে বাংলা সাহসী ভূমিকা নিয়ে নকআউট পর্যায়ের খেলায় মাঠে নামতে হবে।