• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

হারল রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি

লিভারপুল চলে গেল লিগের এক নম্বরে। তারা চারটি ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে। তাদের পরই রয়েছে স্পোর্টিং ও মোনাকো। দুই দলই একটি জয় ও একটি ড্রয়ের মাধ্যমে ১০ পয়েন্টে রয়েছে। উয়েফা-র আনা নয়া ৩৬ দলের ফর্ম্যাটে শীর্ষে থাকা আটটি দল চলে যাবে প্রথম আটে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

একেই বলে অঘটনের রাত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। পরাজিত ইউরোপীয় হেভিওয়েট দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। এসি মিলান ৩-১ গোলে হারাল রিয়ালকে। অন্য ম্যাচে স্পোর্টিং লিসবন ৪-১ গোলে পর্যুদস্ত করল সিটিকে।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল হেরেছে এসি মিলানের কাছে। চলতি মরশুমে এই নিয়ে এটা তাদের তিন নম্বর হার। যেখানে গোটা গত মরশুমে তারা হেরেছিল মাত্র দুটো ম্যাচে। এর মধ্যে লাইলের মতো ছোট দলের কাছেও হারতে হয়েছে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নকে। এদিন শুরুতেই দুটি গোল মিস করেন এমবাপে। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করে মিলান। ২৩ মিনিটে সেই গোল শোধ দিলেও শেষপর্যন্ত হার বাঁচাতে পারেনি তারা।

অন্যদিকে প্রথম গোল পাওয়ার পর মিলান মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা হয়। ফলে তাদের মানসিকতা ভাঙার মতো ক্ষমতা ছিল না রিয়ালের কাছে। ৩৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে মিলান। আলভারো মোরাতা গোল করেন। শেষ গোলটি করেন তিজানি। মিলানের দাপটে রিয়াল মাদ্রিদের শত চেষ্টা জলে যায়। ম্যাচে শেষ হাসি হাসে মিলান।

অবার আরলিং হালান্ডের পেনাল্টি মিসের দৌলতে চার মিনিটে এগিয়ে গিয়েও বিশ্রীভাবে হারতে হয়েছে সিটিকে। ২০১৮ সাল থেকে ধরলে এই প্রথম টানা তিন ম্যাচে পরাজয়ের কষাটে স্বাদ পেল সিটি। ঘটনাচক্রে সিটি যে স্পোর্টিং লিসবনের কাছে পরাস্ত হল, সেই স্পোর্টিংয়ের কোচ রুবেন আমোরিম এর পর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হতে চলেছেন। সিটির মিডফিল্ডার বার্নার্ডো সিলভা বলেছেন, ”ক্লাবে আমার সাড়ে সাত বছরে মনে করতে পারছি না কখনও আমরা টানা তিনটে ম্যাচে হেরেছি বলে।”

সেই তুলনায় লিভারপুলের জন্য এদিনটা চমৎকার কাটল। লুইস দিয়াজের হ্যাটট্রিক এবং কোডি গাকপোর গোলে তারা ৪-০ হারাল জার্মান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার লেভারকুসেনকে। এর ফলে লিভারপুল চলে গেল লিগের এক নম্বরে। তারা চারটি ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে। তাদের পরই রয়েছে স্পোর্টিং ও মোনাকো। দুই দলই একটি জয় ও একটি ড্রয়ের মাধ্যমে ১০ পয়েন্টে রয়েছে। উয়েফা-র আনা নয়া ৩৬ দলের ফর্ম্যাটে শীর্ষে থাকা আটটি দল চলে যাবে প্রথম আটে। শেষ ১২টি দল ছিটকে যাবে। মাঝের অর্থাৎ ৯ থেকে ২৪ নম্বরে থাকা দলগুলি প্লে অফে খেলবে।