বায়ার্ন মিউনিখের গোলের বন্যা, জয় পেল রিয়াল এবং লিভারপুল

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা শুরু হতেই চেনা ছন্দে দেখতে পাওয়া গেল বায়ার্ন মিউনিখকে। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে ৯ গোলের মালা পরিয়ে দিল। অন্যদিকে, অপেক্ষাকৃত সহজে ম্যাচে জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং লিভারপুলও।

মঙ্গলবার রাতে ডায়নামো জাগ্রেবের মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষকে একেবারে দুরমুশ করে ছেড়ে দিলেন হ্যারি কেনরা। বায়ার্ন জিতল ৯-২ গোলের ব্যবধানে। একা হ্যারি কেনই ৪ টি গোল করলেন। তার মধ্যে তিনটি এসেছে পেনাল্টি থেকেই।

এছাড়া জোড়া গোল করেন মাইকেল এলিস। অর একটি করে গোল করেন রাফায়েল গেরেরো, লিরয় সানে এবং লিয়ন গোরেৎজকা। বায়ার্ন মিউনিখ প্রথম দল, যারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচে ৯টি গোল করার কৃতিত্ব দেখালো।


এদিন স্টুটগার্টের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক হয়েছে কিলিয়ান এমবাপের। প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়ে গেলেন তিনি। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে, তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ৬৮ মিনিটে, স্টুটগার্টকে সমতায় ফেরান ডেনিস উনডাভ।

তবে রিয়াল ফের খেলায় এগিয়ে যায় ৮৩ মিনিটে। রুডিগারের দুর্দান্ত গোলে লিড নেয় তারা। ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন এনড্রিক। সেটা যদিও সংযুক্ত সময়ে। রিয়াল ম্যাচ জেতে ৩-১ গোলে।

এদিনের এদিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ ছিল এসি মিলান বনাম লিভারপুলের মধ্যে। লিভারপুল এদিন পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত জয় তুলে নিল মিলানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়ে। ম্যাচের ৩ মিনিটেই, পুলিসিচের গোলে এগিয়ে যায় এসি মিলান।

তবে তার ২০ মিনিট বাদে, লিভারপুলের হয়ে সমতা ফেরান ইব্রাহিম কোনাটে। অপরদিকে খেলার ৪১ মিনিটে, ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইকের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে, ফের গোল করেন ডমিনিক সোবোসলাই। তবে তার আগে জুভেন্তাস পিএসভিকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে এবং অ্যাস্টন ভিলা ৩-০ গোলে জিতেছে ইয়ং বয়েজের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম খেলা থেকেই জমে উঠল।