সুপারকাপে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার আগুনে ছারখার রিয়াল মাদ্রিদ ​শিবির

ফাইল চিত্র

ইয়ামাল ও রাফিনহা জুটি ছারখার করে দিল রিয়েল মাদ্রিদকে। সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে ফাইনালে এমবাপে, ভিনিসিয়াসদের কার্যত নাস্তানাবুদ করলো বার্সেলোনা। রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে নিল তারা। প্রথমার্ধের খেলা শুরুর ৫ মিনিটেই ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের গোলে এগিয়ে গিয়েছিলো রিয়াল। তারপরেই শুরু হয় বার্সেলোনা ম্যাজিক। পাসের ফুলঝুরি ছড়িয়ে টিকিটাকা ছন্দে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করলো হ্যান্সি ফ্লিকের দল। বাইশ মিনিটে এল ক্ল্যাসিকোর চাল উল্টে দেন সতেরো বছরের স্প্যানিশ প্রতিভা ইয়ামাল। গোল করে সমতা ফেরান তিনি। তারপর আর ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি আলসেনোত্তির দলকে।

একের পর আক্রমণ শানিয়ে রিয়ালের ডিফেন্স ত্রাসের সঞ্চার করছিল বার্সার ফুটবলাররা। রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার কুর্তোয়া দুরন্ত সেভ করে দলকে রক্ষা করেন। খেলার ২৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে গাভিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাউল করেন কামাভিঙ্গা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি লেয়নডস্কি। এর ৩ মিনিটের মধ্যে ফের গোল। জুলস কুন্দের ক্রস থেকে রাফিনহা যখন হেডে গোল করেন,তখন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডাররা কার্যত দাঁড়িয়ে ছিলেন। রিয়ালের কফিনে চতুর্থ পেরেকটি পুঁতে দেন আলেজান্দ্রো বালদে। প্রতি আক্রমণে গোলের দরজা খোলেন তিনি। প্রথমার্ধেই বার্সাকে ৪-১ গোলে এগিয়ে থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় বার্সেলোনা। তাই পাঁচ নম্বর গোলটি পেতে দেরি হয়নি। নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে ৫-১ গোলে এগিয়ে দেন রাফিনহা। এরপর যখন মনে হচ্ছিলো রিয়ালের বিরুদ্ধে গোলের রেকর্ড করবে বার্সা, তখনই ঘটে অঘটন। খেলার ৫৬ মিনিটে গোল থেকে বেরিয়ে এমবাপেকে ফাউল করেন বার্সার গোলরক্ষক সেজনি। লালকার্ড দেখে সেজনিকে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যেতে হয়। সেজনি মাঠ ছাড়ায় বার্সেলোনা বাধ্য হয়ে তুলে নেয় ইয়ামাল এবং গাভিকে। সেই ফ্রি-কিক থেকেই গোল করে ব্যবধান কমান রদ্রিগো। বাকি ৪০ মিনিট বার্সেলোনাকে ১০ জনে পেয়েও গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারলেন না এমবাপে-বেলিংহ্যামরা। রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ ব্যবধানে এল ক্লাসিকো জিতে ১৫ বার স্প্যানিশ সুপার কাপ ঘরে তুলল বার্সেলোনা।