• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মোহনবাগানের বাজিমাৎ, ডার্বি ম্যাচে লাল-হলুদকে ৫-১ গোলে হারিয়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি— ফুটবলের ডার্বি ম্যাচ বলতে আলাদা একটা উন্মাদনা৷ সে বড়দেরই হোক বা ছোটদেরই হোক৷ ডার্বি ম্যাচ বলতেই উত্তেজনায় ঠাসা থাকে গ্যালারি৷ সোমবার রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভালপমেন্ট লিগে ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল৷ মোহনবাগানের আক্রমণের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ইস্টবেঙ্গল নিজেদের কোনও ভাবেই প্রকাশ করতে পারেনি৷ খেলার শুরু থেকেই মোহনবাগানের দাপট ছিল দেখার মতো৷ শেষ

নিজস্ব প্রতিনিধি— ফুটবলের ডার্বি ম্যাচ বলতে আলাদা একটা উন্মাদনা৷ সে বড়দেরই হোক বা ছোটদেরই হোক৷ ডার্বি ম্যাচ বলতেই উত্তেজনায় ঠাসা থাকে গ্যালারি৷ সোমবার রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভালপমেন্ট লিগে ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল৷ মোহনবাগানের আক্রমণের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ইস্টবেঙ্গল নিজেদের কোনও ভাবেই প্রকাশ করতে পারেনি৷ খেলার শুরু থেকেই মোহনবাগানের দাপট ছিল দেখার মতো৷ শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান ৫-১ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে দিয়ে বাজিমাৎ করল৷ আইএসএল ফুটবলের ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানের ইচ্ছা ছিল প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলকে পাঁচ গোল দেবার৷ কিন্ত্ত সেই ইচ্ছা বড়রা পূরণ করতে না পারলেও, ছোটরা সেই স্বপ্ন সার্থক করে দিয়েছে৷ প্রায় শেষ মিনিট পর্যন্ত মোহনবাগান ৫-০ গোলে এগিয়ে ছিল৷ এমনকি সবুজ মেরুন শিবিরের ফুটবলাররা যদি সুযোগগুলি নষ্ট না করত তাহলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত৷

কোচ হাবাসের দল মোহনবাগান আইএসএল ফুটবলের ডার্বি ম্যাচে তৃতীয় পর্বে সেই পর্বে খেলতে না পারায় গোলের সংখ্যা বাডা.তে পারেনি৷ কিন্ত্ত কোচ বাস্তব রায়ের ছোটদের মোহনবাগান দলের খেলোয়াড়রা যে ভাবে প্রতিপক্ষ শিবিরকে ভেঙেচুড়ে .দিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসা করার মতো৷ তবে এদিনের মোহনবাগান দলের যেমন আইএসএলে খেলার তরুণ ফুটবলাররা ছিলেন তেমনি মোহনবাগান দলেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখতে পাওয়া গেছে৷ লাল হলুদ জার্সি গায়ে খেলেছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও গুরনাজ সিং আবার মোহনবাগান দলে খেলেছেন রাজ বাসফোর, সুহেল ভাট, ফারদিন আলি মোল্লা ও দীপেন্দু বিশ্বাস৷

এককথায় বলা যায় ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা ভারে ও ধারে মোহনবাগানের কাছে দাঁড়াতেই পারেনি৷ মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন শিবাজিৎ সিং৷ প্রথম অর্ধের খেলার একেবারে শেষ পর্বে মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন টাইসন সিং৷ দ্বিতীয় পর্বের খেলার শুরু থেকেই আবার আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেড৷ মোহনবাগানের সুহেল ভাট পর পর দুটি গোল করে মোহনবাগানের জয়কে প্রায় নিশ্চিত করে দেয়৷ মোহনবাগান ৪-০ গোলে এগিয়ে যাবার পরে আরও উদ্দীপ্ত ফুটবল খেলতে থাকে মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা৷ দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করে দীপেন্দু বিশ্বাস৷

স্বাভাবিক ভাবে পাঁচ গোলে এগিয়ে যাবার পরে মোহনবাগানের ফুটবলাররা কিছুটা হালকা চালে খেলতে থাকে৷ আর সেই সুযোগে একেবারে শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলের ব্যবধান কমান আমন শিকে৷ খেলা শেষ হবার পরেই ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক রনিত সরকার কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ রনিতকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন মোহনবাগানের কোচ বাস্তব রায়৷ ছঁুটে আসেন ইস্টবেঙ্গলের প্রীতম সাহা সহ অন্য ফুটবলাররাও৷

এদিকে মহমেডান স্পোর্টিং হেরে গেল জামশেদপুর এফসি-র কাছে৷ জামশেদপুর ৩-১ গোলে মহমেডান স্পোর্টিংকে হারিয়ে দিয়েছে৷ জামশেদপুরের গোল করেছেন রেমসন সিং, মামা ও পঁুইয়া৷ মহমেডান স্পোটিংয়ের হয়ে গোলের ব্যবধান কমান লাংগা গাইসাখা৷