মুম্বই– ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাডবয় তিনি৷ বারবার নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন৷ বোর্ড কর্তারা ঈশানকে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বলেছিলেন৷ তিনি কর্ণপাত করেননি৷ এমনকী কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও ঈশানকে রঞ্জিসহ দেশের অন্যান্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে বলেছিলেন৷ ঈশান সেই বিষয়টিও আমল দেননি৷ বরং ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার অফিস টুর্নামেন্টে খেলেছেন৷ বোর্ডের বার্ষিক চুক্তির তালিকা থেকে ঈশানের নাম বাদ দেওয়া হয়৷
ঈশানকে বার্ষিক চুক্তি থেকে বাতিল করা নিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ বলতে শুরু করেন, ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা না বলে তাঁকে বাদ দেওয়া ঠিক নয়৷ এই তালিকায় ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রবি শাস্ত্রীরা৷
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পরে ঈশান নিজের অভিমানের কথা বলেছেন৷ তিনি জানান, ‘‘আমার বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে নানা কথা লেখা হয়েছিল৷ তবে এটা বলতে পারি, আমি সেইসময়ও অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছিলাম৷ কিছু বিষয় থাকে, যা সবসময় নিজের হাতে থাকে না৷ আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই হয়েছিল৷’’
ঈশানের ৩৪ বলে ৬৯ রান মুম্বইয়ের সহজে জয় আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছিল৷ ঈশান নিজের ব্যাটিং নিয়ে বলেছেন, আমি ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে নিজের মানসিকতায় বদল এনেছি৷ প্রথম দুটি ওভার বেঙ্গালুরুর বোলাররা ভাল বোলিং করেছেন৷ সেইসময়ও একটি বল আমি নষ্ট করিনি৷ তবে একটা বিষয় জানতাম, ২০ ওভারের ম্যাচ, হাতে সময় পাব, বাকি সময় কাজে লাগাতে হবে৷ সেটি আমরা পেরেছি, এটাই আমাদের সার্থকতা৷ যখন হারছিলাম, সেইসময়ও নিজেদের থেকে বিশ্বাস হারায়নি৷