আর তিনদিন বাদেই এখানে শুরু হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। ভারতের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়তো সেই ভাবে অস্ট্রেলিয়া এই ম্যাচ দেখছে না। আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারত অধিনায়কের রোহিত শর্মার নাম থাকলেও, আদপে তিনি এই ম্যাচটা খেলবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নাম ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাট কোহলি। কোহলিকে উইকেটে দেখলে প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা বেশ কিছুটা আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যান। উল্লেখ করা যেতে পারে কোহলির আমলেই শেষ দু’টো সিরিজ অস্ট্রেলিয়া থেকে জিতে দেশে ফিরেছে ভারত।
অতএব, সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের মন্ত্র একটাই, ‘সব ব্যাটসম্যানদের ছেড়ে বিরাট কোহলিকে ধরারা রায় দিয়েছেন বর্তমান দলের সদস্য মিচেল মার্শই হোক বা অজি বোলিংয়ের প্রাক্তন মহাতারকা গ্নেন ম্যাকগ্রা। প্রত্যেকের মুখেই বিরাট-কথা। পার্থে প্রথম টেস্টের দলে ঘরের ছেলে মার্শের থাকার সম্ভাবনায় এখনও সিলমোহর পড়েনি। তবে দলে থাকলে বিরাটকে কীভাবে রুখবেন, তার নীল-নকশা তৈরি করে ফেলেছেন অজি অলরাউন্ডার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলছিলেন, “যদি বিরাট ৩০ রান করে ফেলে, তবে আমি ওকে সোজা ধাক্কা মারব। যাতে ও মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়!” আইপিএলে খেলার সুবাদে খুব কাছ থেকে বিরাটকে দেখেছেন মার্শ। ফলে প্রাক্তন সতীর্থ একবার উইকেটে সেট হয়ে গেলে কতটা ভয়ংকর হতে পারেন, ভালোই জানেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিরাটকে ‘স্লেজ’ করার পক্ষপাতী নন মার্শ। তাঁর বার্তা, “আইপিএলে বছর দুয়েক বিরাটের সঙ্গে খেলেছি। ফলে মাঠের ভেতরের পাশাপাশি বাইরেও ওকে দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি কোনওভাবেই ওকে উত্তেজিত করতে চাই না। আগেও সেটা করিনি। এবারও নিখাদ ক্রিকেটীয় লড়াইয়ের মধ্যে বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।”
অন্যদিকে ক’দিন আগেই ভারতীয় দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে আউট করার অস্ত্র তাঁর জানা আছে। অশ্বিনকে কীভাবে সামলানো যায়, তা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন স্মিথ। তিনি জানিয়েছেন যে, অশ্বিন তাঁকে অতীতে আউট করলেও ভারতীয় স্পিনারকে সামলানোর ক্ষমতা তাঁর আছে। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক বলেছেন, “আমি অফ স্পিনে আউট হওয়া পছন্দ করি না। কিন্তু অশ্বিন দারুণ বোলার। ও আমাকে বেশ কয়েকবার আউট করেছে। তবে ওর বিরুদ্ধে সফল হওয়ার কৌশল জানি। ওকে কখনও থিতু হতে দেওয়া যাবে না। ওকে আক্রমণ করতে হবে।” উল্লেখ্য, অশ্বিন কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, স্মিথ কীভাবে ব্যাট করেন, তা তাঁর জানা আছে। সেভাবেই তিনি বোলিং করবেন।
এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া মনে করে, “অশ্বিন এবং আমার মধ্যে বেশ কয়েকবার লড়াই হয়েছে। এই ধরনের লড়াইয়ে যে চাপে পড়ে, সে পিছিয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণই মানসিক লড়াই।” তাদের অভিমত, আসন্ন সিরিজে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমরা সেরাটা দিতে চাই। ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজে স্মিথ তাঁর পছন্দের জায়গা চার নম্বরেই ব্যাট করবেন। স্মিথ জানিয়েছেন, শুরুটা ভালো হওয়া দরকার। তা না হলে লড়াইটা কঠিন হয়ে যাবে।