• facebook
  • twitter
Monday, 6 January, 2025

দিনের শেষে কনস্টাসের সঙ্গে বুমরার আগ্রাসী মনোভাব চোখে পড়ল

মেলবোর্নে অভিষেক টেস্ট থেকেই কনস্টাস মাত্রাতিরিক্ত কথা বলছেন মাঠে। ভারতীয়দের নানা ভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করছেন। যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন চতুর্থ টেস্টে।

ফাইল চিত্র

চলতি বর্ডার-গাভাসকার টেস্ট সিরিজে ভারত এই মুহূর্তে পিছিয়ে রয়েছে ১-২ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া থেকে। তাই শেষ টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৮৫ রান উঠেছে। তারপরে অস্ট্রেলিয়া দল খেলতে নামলে শুক্রবার ওভারের শেষ বলে যশপ্রীত বুমরা আউট করে দেন উসমান খোয়াজাকে। আসলে প্রতিপক্ষ দলকে চাপে রাখার জন্য ভারতীয় শিবিরের খেলোয়াড়রা নানাভাবে প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের চেষ্টা করতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার স্যাম কনস্টাসকে একরকম কোণঠাসা করে দেওয়ার প্রয়াস নেওয়াতে উত্তাপ ক্রমশই চড়তে শুরু করেছে প্রথম দিন থেকেই। আর তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেল। অতীতে অধিনায়ক থাকার সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অস্ট্রেলীয়দের তাঁদের ভাষায় জবাব দেওয়া শুরু করেছিলেন। বুমরা সেই রাস্তাতেই এগিয়ে গেলেন। পারফর্ম করার পাশাপাশি মুখেও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছেন। সে ভাবেই অস্ট্রেলিয়ার ১৯ বছরের ওপেনিং ব্যাটসম্যান কনস্টাসকে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করলেন দিনের শেষে।

ঘটনার সূত্রপাত দিনের শেষ বলের আগে। বুমরা বল করার জন্য দৌড় শুরু করে দেখেন, প্রস্তুত নন ব্যাটসম্যান উসমান খোয়াজা। আম্পায়ার হাত দেখিয়ে বুমরাকে থামিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। বিরক্ত বুমরাকে কিছু বলতে দেখা গেল। খোয়াজা চুপ থাকলেও কনস্টাস কিছু বলতে শুরু করেন বুমরাকে। ভারতীয় দলের অধিনায়ককে কিছুটা উত্তেজিত দেখাচ্ছিল তখন। কনস্টাসের আচরণে বিস্মিত দেখায় বিরাট কোহলিকেও। তবে অস্ট্রেলিয়া দলের তরুণ ওপেনার কনস্টাসকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

সিডনির মাঠে কনস্টাসের অপ্রয়োজনীয় মাতব্বরি বুমরা শেষ করে দিলেন শেষ বলেই। কনস্টাস তাঁকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করলেও মাথা ঠান্ডা রেখে বল করেন তিনি। ফলও পান হাতেনাতে। বুমরার বল খোয়াজার ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে জমা পড়ে দ্বিতীয় স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে। উইকেট নিয়েই ২২ গজের নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা কনস্টাসের দিকে আগ্রাসী ভাবে ছুটে যান বুমরা। এগিয়ে গিয়েও নিজেকে দ্রুত সংযত করে নেন তিনি। কনস্টাসের দিকে বেশ আগ্রাসী ভূমিকায় এগিয়ে আসতে দেখা যায় কোহলিকেও। যোগ দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাও। খোয়াজা ততক্ষণে সাজঘরের দিকে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মেজাজ দেখে আর কিছু বলার চেষ্টা করেননি কনস্টাস। যদিও দ্রুত দৌড়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন রাহুল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।

মেলবোর্নে অভিষেক টেস্ট থেকেই কনস্টাস মাত্রাতিরিক্ত কথা বলছেন মাঠে। ভারতীয়দের নানা ভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করছেন। যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন চতুর্থ টেস্টে। সিডনিতেও একই রকম আচরণ করছেন তিনি। প্রতিপক্ষ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে না তাঁর মধ্যে। বুমরার সঙ্গে মেলবোর্ন থেকেই পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া শুরু করেছিলেন কনস্টাস। প্রথম টেস্ট খেলতে নামা তরুণ ক্রিকেটারের আচরণ দেখেও নিজেকে সামলে রেখেছিলেন বুমরা। কিন্তু সিডনিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া বুমরাকে দেখা গেল কিছুটা অচেনা মেজাজে। সৌরভের মতোই অস্ট্রেলীয়দের তাঁদের ভাষাতে জবাব দিতে চাইছেন, যা বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির শেষ টেস্টে বাড়তি উত্তেজনা যোগ করছে। তাই দুই শিবিরেই একটা টান টান পরিবেশ তৈরি হয়েছে।