সচিন পুত্র অর্জুনের সুনামি বোলিংয়ে অরুণাচল ছারখার

অর্জুন তেন্ডুলকর। ছবি: সংগৃহীত।

সচিন তেন্ডুলকরের পুত্র অর্জুন মুম্বই দলে খেলবার সুযোগ পেলেও সেইভাবে নজর কাড়তে পারেননি। তাই নিজের ইচ্ছায় গোয়া দলের হয়ে খেলবার পরেই অর্জুন অনেকটাই বদলে গিয়েছেন। এরকম ঘটনা অনেক খেলোয়াড়ের জীবনে এসেছে। বিশেষ করে সুনীল গাভাসকারের ছেলে মুম্বইতে সেইভাবে নজরে আসতে না পেরে রোহন গাভাসকার বাংলায় চলে এসেছিলেন। শুধু বাংলায় আসা নয়, তিনি বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতেও খেলেছেন। এই রকম উদাহরণ আরও আছে। অবশ্য অরুণলাল টেস্টে জায়গা পেয়েও দিল্লিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি। তাই তিনিও চলে এসেছিলেন বাংলাতে। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন এবং অধিনায়কও হয়েছেন। এমন আর একজনের কথাও চলে আসতে পারে এই তালিকায় তিনি হলেন অশোক মালহোত্রা। তিনিও ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে অরুণলাল ও অশোক মালহোত্রা বাংলায় রয়েছেন।

এই মুহূর্তে আইপিএল ক্রিকেটে মেগা নিলামের মাত্র ১০ দিন বাকি আছে। তার আগেই সচিন পুত্র অর্জুন ঝড় তুললেন বোলিংয়ে। তাই এই পারফরমেন্সের পরেই নিশ্চয় মুম্বই দল আইপিএল ক্রিকেটে অর্জুনের কথা ভাববে।
এখন গোয়ার হয়ে রঞ্জিতে খেলতে নেমে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট শিকার করলেন কিংবদন্তির পুত্র। পারভোলিনে গোয়া ক্রিকেট সংস্থার মাঠে অরুণাচল প্রদেশ অর্জুনের বোলিং বিক্রমে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে গেল।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অরুণাচল অধিনায়ক নাবাম আবো। তবে অর্জুনের দৌলতে তার যে সিদ্ধান্ত ভুল ছিল তা প্রমাণ করে ছাড়েন। প্রথম ওভারেই অর্জুনের শিকার নাবাম হাচাং। শূন্য রানে বোল্ড হতে হয় অরুণাচল ওপেনারকে। একইভাবে অন্য ওপেনার নীলম ওবি-ও আউট হওয়ার পর অরুণাচল স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তোলার ফাঁকেই জোড়া ওপেনারকে হারায়।
এরপরে আরও জোড়া ধাক্কা দেন ২৫ বছরের তারকা। জয় ভাবসারকে লেগ বিফোর করার পর সমর শ্রাবণ দুভাসিকে স্লিপে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। ২৭/৪ হয়ে যাওয়ার পর অর্জুন নিজের পঞ্চম উইকেট শিকার করেন মোজি এটের স্ট্যাম্প উড়িয়ে। মাত্র ২৫ রানে ৫ উইকেট দখল করার অর্জুনকে যোগ্য সহায়তা করেন মোহিত রেডকর (৩/১৫) এবং কিথ পিন্টো (২/৩১)।
এর আগে সিকিম এবং মিজোরামের বিপক্ষে অর্জুন যথাক্রমে ৬ এবং ২ উইকেট শিকার করেছেন। চার ম্যাচে এখনই তাঁর নামের পাশে ১৬ উইকেট। চলতি রঞ্জিতে তিনি এখনও পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই অর্জুনের প্রথম পাঁচ উইকেটের নজির। অর্জুন যেভাবে দুরন্ত বল করছেন, তা ভারতীয় নির্বাচকদের চোখে পড়াও অসম্ভব নয়।