ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও সাউদাম্পটনের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস আর ম্যাচের শুরুটা ঠিক মিলছিল না! এ ম্যাচের আগে ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে কোনো জয় নেই সাউদাম্পটনের। কিন্তু ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে ইউনাইটেডের ওপর ছড়ি ঘোরাল তারাই। যদিও তেমন কোনো হুমকি তারা তৈরি করতে পারেনি। পরে অবশ্য ইতিহাস ঠিক রেখে মাতিয়াস ডি লিখট, মার্কাস রাশফোর্ড ও আলেহান্দ্রো গারনাচোর একটি করে গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে ইউনাইটেড।
ইউনাইটেড সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় ৩১ মিনিটে। ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ডিফেন্ডার দিয়োগো দালত বক্সের মধ্যে ফাউল করেন টাইলার ডিবলিংকে। পেনাল্টি পায় সাউদাম্পটন। কিন্তু ক্যামেরন আর্চারের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেডের গোলকিপার আন্দ্রে ওনানা। সাউদাম্পটনের জন্য এটা যেন দেজা ভ্যু! ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের বিপক্ষে পাওয়া দুটি পেনাল্টি থেকেই গোল করতে ব্যর্থ হলো তারা। এর আগে ২০১৭ সালে পেনাল্টি থেকে ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সের্হিও রোমেরো।
সাউদাম্পটনের এই পেনাল্টি মিসের পরই যেন খেলার মোড় যায় ঘুরে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইউনাইটেড। ৩৪ মিনিটে দুর্দান্ত একটি আক্রমণ করেও গোল পায়নি তারা। তবে পরের মিনিটেই ডি লিখট গোল করে এগিয়ে দেন ইউনাইটেডকে। শর্ট কর্নার থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজকে বল দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। দেরি না করে ফার্নান্দেজ ক্রস বাড়ান বক্সের মধ্যে। সেখান থেকে দুর্দান্ত হেডে করা গোলটি ইউনাইটেডে ডি লিখটের প্রথম।
৬ মিনিট পর ইউনাইটেডকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন রাশফোর্ড। এবারও গোলের উৎস শর্ট কর্নার। শর্ট কর্নার থেকে বল পান রাশফোর্ড। বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট নেন তিনি। বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বল চলে যায় জালে।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা ইউনাইটেড একের পর এক আক্রমণ করে যায় সাউদাম্পটনের বক্সে। কিন্তু গোল কিছুতেই পাচ্ছিল না। অবশেষে ইউনাইটেডকে যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে তৃতীয় গোল এনে দেন ৭৩ মিনিটে রাশফোর্ডের বদলি হিসেবে নামা আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড গারনাচো। এর আগে ৭৯ মিনিটে তাঁকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সাউদাম্পটনের স্টিভেনস।