বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দারুণ ফর্মে রয়েছেন। তাই এবারে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের খেলায় আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করে চলেছেন, তাতে বলতে পারা যায়, আবারও তারা বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে চায়। ফুটবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায় পেরুকে ১-০ হারিয়ে দিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার আরও কাছাকাছি চলে গেল তারা। এ দিকে, উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ড্র করে ঘরের মাঠেই সমর্থকদের কাছে বিদ্রূপের শিকার হতে হল ব্রাজিলকে।
আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। আর এই গোলটি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। সালভাদোরে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে উরুগুয়েকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। বক্সের বাইরে থেকে দর্শনীয় শটে গোল করেন তিনি। প্রায় একই রকম কায়দায় গোল করে আট মিনিট বাদে সমতা ফেরান গারসন।
১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকার গ্রুপে সবার উপরে রয়েছে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের থেকে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে তারা। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর এবং কলম্বিয়া যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল পঞ্চম স্থানে। এক পয়েন্ট পিছনে ষষ্ঠ স্থানে প্যারাগুয়ে। প্রথম ছ’টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। সপ্তম দল প্লে-অফ খেলবে। সেই জায়গায় রয়েছে বলিভিয়া। এর পর ভেনেজুয়েলা, চিলি এবং পেরু রয়েছে। এই তিন দলের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম।
দেশের জার্সিতে ৩২তম গোল করে দিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁয়ে ফেললেন লাউতারো। এর আগে জুলিয়ান আলভারেসের শট পোস্টে লাগে। মেসির পারফরম্যান্স খুব আহামরি না হলেও গোলের পাসটি এসেছে তাঁর পা থেকেই। ৫৫ মিনিটে তাঁর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন লাউতারো। ম্যাচের পর গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেছেন, ‘আমরা কোপা আমেরিকা জিতেছি। দক্ষিণ আমেরিকাতেও সবার আগে। নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত।’
সালভাদোরে শেষ বাঁশি বাজার পর ব্রাজিলের সমর্থকেরা নিজেদের দলের উদ্দেশে অভব্য ব্যবহার করেন। কোচ দোরিভালের অধীনে আরও একটি খারাপ পারফরম্যান্স ব্রাজিলের। ম্যাচের পর মিডফিল্ডার রাফিনহা বলেছেন, ‘আমরা দারুণ খেলেছি। জিতে ফেরা উচিত ছিল। তবে এই ম্যাচের পরেও মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ছি আমরা। এর থেকে বড় কথা আর কী
হতে পরে।’