রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে বাংলাকে যদি নকআউট পর্যায়ে খেলতে হয় তাহলে পর পর দুটি ম্যাচে জেতা ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই। তাই বাংলার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশের সঙ্গে মোকাবিলা করা। তারপরে রঞ্জি ট্রফিতে দুটো হোম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শপথে এখন বাংলা। মরসুম শুরু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে। ছয় পয়েন্টের সম্ভাবনা থাকলেও সেই ম্যাচে এসেছিল তিন পয়েন্ট। ওই ম্যাচটা বাংলার হাতের মুঠোয় এলেও উত্তরপ্রদেশের বোলাররা শেষ মুহূর্তে দুরন্ত বোলিং করেন তাই জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়। তিন পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাকে। তবে ঘরে ফিরে হতাশায় কেটেছিল বাংলার।
তবে ঘরের মাঠে দুর্বল বিহারের সঙ্গে লড়াই করে জেতার পাশাপাশি বোনাস পয়েন্ট নেবার চেষ্টা করবে বাংলা এটাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বিহার ম্যাচ পুরোপুরি ভেস্তে গিয়েছিল। এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এরপর কেরলের বিরুদ্ধে বৃষ্টিতে প্রথম দিনের খেলা না হলেও দ্বিতীয় দিনের শেষে খেলা শুরু হলেও বাংলা কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের রান টপকে যেতে পারেনি। শেষ অবধি ম্যাচ হলেও দু-দলের একটি করে ইনিংসও সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাংলা এক পয়েন্ট পায়। এ বার অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলার প্রতিপক্ষ কর্ণাটক। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলা ও কর্ণাটকের খেলা। প্রথম দিনেই বাংলা অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার শতরান করে শিরোনামে উঠে এসেছিল।
এই ম্যাচে অভিষেক পোড়েল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, মুকেশ কুমারের মতো ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন ভারতীয় এ দলে খেলার জন্য। তাঁদের ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাকে। মহম্মদ সামির ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফিট নন। কর্ণাটকের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বাংলার শুরুটাও সেইভাবে নজর কাড়তে পারেনি। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্ণাটক। কৌশিকের অনবদ্য বোলিংয়ে শুরুতেই শুভমন দে ও সুদীপ ঘরামির উইকেট হারাতে হয় বাংলাকে। বাংলার অপর এক ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনবদ্য জুটি গড়েন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। সুদীপ অর্ধশত রান করে বাংলাকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেন।
অনুষ্টুপ ১০১ রান করে বাংলার স্কোর বোর্ডকে উজ্জ্বল করেন। তাঁর অনবদ্য ইনিংস অবশ্যই মনে রাখার মতো। শেষ বেলায় আবার চাপে পড়ে যায় বাংলা। অনুষ্টুপের পর ২২ রানে আউট হয়ে যান অভিলিন ঘোষ। তবে বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে ক্রিজে দিনের শেষে উইকেটে রয়েছেন বাংলার অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা ৫৪ রানে। সঙ্গে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ ৫৪ রানে। প্রথম দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলা ২৪৯ রান তুলে নিয়েছে। তবে দ্বিতীয় দিনে বাংলা যদি চারশোর ঘরে রান তুলে নিতে পারে সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ কর্ণাটক কিছুটা চাপে পড়ে যাবে। বাংলার বোলারদেরও বড় ভূমিকা নিতে হবে কর্ণাটকের উইকেট তাড়াতাড়ি ভেঙে দেওয়ার জন্য।