বাংলার মহম্মদ শামিকে বার বার ভাবাচ্ছে চোট এবং আঘাত। গত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ফাইনাল খেলায় হাঁটুতে চোট পাওয়ার পরেই বিশ্রামে চলে যেতে হয়েছিল। টানা একবছর হাঁটু আর গোড়ালির চোটে তিনি মাঠের বাইরে। তারপরে বিদেশে গিয়ে শামির অস্ত্রোপচার হয়। তবু ফিট হয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানেই ফের বিপত্তি। পুরোদমে বল করতে গিয়ে আবারও চোট পেলেন মহম্মদ শামি। জানা গিয়েছে, পায়ে ফের চোট লেগেছে তারকা পেসারের। ফলে নতুন করে রিকভারি শুরু করতে হবে। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে শামি যে আর খেলতে পারবেন না, সেকথা বলাই বাহুল্য। শামির ইচ্ছা ছিল ভারতীয় দলে ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবেন। কিন্তু তার আগে নিজেকে ফিট করে নিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেবেন সেটাও সম্ভব হল না। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন এমন ধারণা ছিল। কিন্তু ফিট না হওয়াতে বাংলা দলে নাম রেখেও শেষ পর্যন্ত বাদের তালিকায় চলে যেতে হয়।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে শামি খেলবেন, সেই আশায় বুক বেঁধেছিল ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ফিট না হওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির। তিনি বলেন, “প্রতিদিন বোলিং করার জন্য পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠার চেষ্টায় নিজের সেরাটা দিচ্ছি। দ্রুত লাল বলের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য এভাবেই পরিশ্রম করে যাব।” ফিট হতে না পারার জন্য বিসিসিআই এবং সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন শামি।
তবে শোনা গিয়েছিল, বাংলার হয়ে রনজি ট্রফির গ্রুপ পর্বের অন্তত গোটা দুয়েক ম্যাচ খেলতে পারেন তারকা পেসার। কর্নাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে প্রত্যাবর্তন হতে পারে তাঁর। আরও খবর ছড়ায়, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির জন্য ভারতীয় দল অস্ট্রলিয়া উড়ে যাওয়ার আগে যদি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে শামি ফিটনেস প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে শেষ মুহূর্তে শামিকে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে তুলে দেওয়া হতে পারে।
কিন্তু ফিট হওয়ার চেষ্টা করতে গিয়েও ফের চোট পেলেন বঙ্গ পেসার। সূত্রের খবর, পুরোদমে বল করতে গিয়েই আবারও পায়ে চোট লাগে তাঁর। হাঁটু এবং গোড়ালির চোট সেরে গেলেও নতুন চোট সারতে এখন দীর্ঘ সময় লাগবে। আগামী ১০ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেবে ভারতীয় দল। ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। এই সময়ের মধ্যে শামির ফিট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই এবারের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে শামিকে ছাড়াই খেলতে হবে ভারতকে। মানসিকভাবে মহম্মদ শামিও বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। আসলে একজন ক্রিকেটার মাঠের বাইরে দীর্ঘদিন থাকলে কি অবস্থার মধ্যে তাঁকে থাকতে হয় তা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছে মহম্মদ শামি।