শোনা যাচ্ছে আগামী মরসুম থেকে একটি নতুন ১৬ দলের লিগ চালু করতে চাইছে সারা ভারত ফুটবল সংস্থা। প্রস্তাবিত লিগটি হবে দেশের সর্বোচ্চ লিগ এবং এই লিগ থেকেই যোগ্যতা অর্জন করে এএফসি-র বিভিন্ন সারির প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে ক্লাবগুলি।
এই বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে ২০১০ সালে এআইএফএফ ও রিলায়েন্সের মধ্যেকার ১৫ বছরের চুক্তি। আর এই চুক্তি নবীকরণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রিলায়েন্সের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এফএসডিএলের দেওয়া প্রস্তাব। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আগেকার মতো তারা প্রতি বছর এআইএফএফ-কে ৫০ কোটি টাকা করে দেবে না, বরং এবার থেকে তারা অর্জিত লভ্যাংশ ভাগ করে নেবে আইএসএল ক্লাবগুলি ও এআইএফএফের সঙ্গে। তাদের প্রস্তাবিত খসরায় এআইএফএফ-কে মাত্র ১৪% শেয়ার দেওয়া হয়েছে।
এখন জানা যাচ্ছে, এফএসডিএলের দেওয়া এই প্রস্তাব মেনে রাজি নয় এআইএফএফ। তারা এই একটা স্থির অর্থের বদলে লভ্যাংশ ভাগাভাগির ব্যাপারটিতে ও সেখানে মাত্র ১৪% শেয়ারের প্রস্তাবকে একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি। এফএসডিএলের থেকে এমন প্রস্তাব পাওয়ার পরেই কলকাতায় বৈঠক করেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্যরা। সেখানে ঠিক হয় এমন প্রস্তাবে এআইএফএফ কোনোভাবেই এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করবে না। সেক্ষেত্রে আইএসএল বন্ধ করে এআইএফএফ নিজেরাই ১৬ দলীয় নতুন লিগ শুরু করবে। যেখানে আইএসএলের বর্তমান দশটি দল ও আই লিগের ছয়টি দল খেলবে। পরবর্তীতে লিগটিতে দল সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮ বা ২০ করা হবে।
নতুন লিগ পরিচালিত হবে কিভাবে, তারও একটা পরিকল্পনা জানা গেছে। ১৬টি দলের থেকে ৪ কোটি করে মোট ৬৪ কোটি টাকা অংশগ্রহণ মূল্য তোলা হবে। সেখান থেকে ৩০ কোটি টাকা লিগের খেলা আয়োজনে খরচ করা হবে, ২০ কোটি টাকা সম্প্রচারখাতে খরচ হবে ও ১৪ কোটি টাকা লিগের বিভিন্ন কার্যকলাপে খরচ করা হবে। এই লিগ থেকে যে আয় হবে, তার ২০% এআইএফএফ নেবে ও বাকি ৮০% অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
আয়োজনে যেখানে প্রতি মরসুমে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হয়, সেখানে কিভাবে ৬৪ কোটি টাকায় ১৬ দলের লিগ খেলা করা হবে? আই লিগের ক্লাবগুলি কেন বা কিভাবে ৪ কোটি টাকা অংশগ্রহণ মূল্য দেবে? বর্তমান আইএসএল ক্লাব কয়টা শেষ পর্যন্ত এই লিগে খেলতে আগ্রহী হবে? এই লিগের কথা ভাসিয়ে দিয়ে কি এফএসডিএলের ওপর চাপ সৃষ্টির খেলা খেলতে চাইছে?সরগরম ভারতীয় ফুটবল মহল।
প্রস্তাবিত লিগটি হবে দেশের সর্বোচ্চ লিগ এবং এই লিগ থেকেই যোগ্যতা অর্জন করে এএফসি-র বিভিন্ন সারির প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে ক্লাবগুলি।
আপনারা সকলেই জেনে থাকবেন যে এইবছরের ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে ২০১০ সালে এআইএফএফ ও রিলায়েন্সের মধ্যেকার ১৫ বছরের চুক্তি। আর এই চুক্তি নবীকরণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রিলায়েন্সের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এফএসডিএলের দেওয়া প্রস্তাব। যেখানে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আগেকার মতো তারা প্রতি বছর এআইএফএফ-কে ৫০ কোটি টাকা করে দেবে না, বরং এবার থেকে তারা অর্জিত লভ্যাংশ ভাগ করে নেবে আইএসএল ক্লাবগুলি ও এআইএফএফের সঙ্গে। তাদের প্রস্তাবিত খসরায় এআইএফএফ-কে মাত্র ১৪% শেয়ার দেওয়া হয়েছে। এসব খবর বেশ পুরোনো।
এখন যেটা জানা যাচ্ছে, এফএসডিএলের দেওয়া উক্ত প্রস্তাবে যারপরনাই রুষ্ট এআইএফএফ। তারা এই একটা স্থির অর্থের বদলে লভ্যাংশ ভাগাভাগির ব্যাপারটিতে ও সেখানে মাত্র ১৪% শেয়ারের প্রস্তাবকে একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি। নিউজ নাইনের দেওয়া খবর অনুসারে এফএসডিএলের থেকে এমন প্রস্তাব পাওয়ার পরেই গত ৯ মার্চ, কলকাতায় বৈঠক করেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্যরা। সেখানে ঠিক হয় এমন প্রস্তাবে এআইএফএফ কোনোভাবেই এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করবে না। সেক্ষেত্রে আইএসএল বন্ধ করে এআইএফএফ নিজেরাই ১৬ দলীয় নতুন লিগ শুরু করবে। যেখানে আইএসএলের বর্তমান দশটি দল ও আই লিগের ছয়টি দল খেলবে। পরবর্তীতে লিগটিতে দলসংখ্যা বাড়িয়ে ১৮ বা ২০ করা হবে।
নতুন লিগ পরিচালিত হবে কিভাবে, তারও একটা পরিকল্পনা জানা গেছে। ১৬টি দলের থেকে ৪ কোটি করে মোট ৬৪ কোটি টাকা অংশগ্রহণ মূল্য তোলা হবে। সেখান থেকে ৩০ কোটি টাকা লিগের খেলা আয়োজনে খরচ করা হবে, ২০ কোটি টাকা সম্প্রচারখাতে খরচ হবে ও ১৪ কোটি টাকা লিগের বিভিন্ন কার্যকলাপে খরচ করা হবে। এই লিগ থেকে যে আয় হবে, তার ২০% এআইএফএফ নেবে ও বাকি ৮০% অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এখন বেশ কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আইএসএল আয়োজনে যেখানে প্রতি মরসুমে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হয়, সেখানে কিভাবে ৬৪ কোটি টাকায় ১৬ দলের লিগ করা হবে? আই লিগের ক্লাবগুলি কেন বা কিভাবে ৪ কোটি টাকা অংশগ্রহণ মূল্য দেবে? বর্তমান আইএসএল ক্লাব কয়টা শেষ পর্যন্ত এই লিগে খেলতে আগ্রহী থাকবে? এই লিগের কথা ভাসিয়ে দিয়ে কি এফএসডিএলের ওপর চাপ সৃষ্টির খেলা খেলতে চাইছে এআইএফএ।