‘আমার আশা পূজারা দ্বি-শতরান করুক, ভারত ম্যাচ জিতুক। এটা আমার মনের ইচ্ছা আমি তা সকলের সামনে প্রকাশ করলাম। এই স্টেডিয়ামে অনেক স্মৃতি গাঁথা রয়েছে। আর স্টেডিয়ামটি জাভাগাল শ্রীনাথের কাছে স্মরণীয়। এখানেই শ্রীনাথ ছয়টি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এবং কপিলদেব ভেঙে দিয়েছিলেন রিচার্ডলির রেকর্ড।
এই এক স্টেডিয়ামেই সুনীল গাভাসকার দশ হাজার রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছিলেন। পাশাপাশি একদিনের ক্রিকেটে আঠারাে হাজার রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছিলেন শচীন তেন্ডুলকর এই স্টেডিয়ামেই। তাই পূজারার ব্যাট থেকে দ্বি-শতরান দেখতে চাই, সেইসঙ্গে ভারতের জয়, নিজের মনের কথা এভাবেই ব্যক্ত করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কিন্তু বলে রাখা ভালাে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র মনের ইচ্ছা পূরণ করতে পারলেন না চেতেশ্বর পূজারা। চার বল খেলে ব্যক্তিগত শুন্য রান করে আউট হয়ে যান তিনি। নরেন্দ্র মােদি স্টেডিয়ামের সূচনালগ্নে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। গুজরাতের রাজ্যপাল দেব্রত, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের সচিব জয় শাহ।
অমিত শাহ স্টেডিয়ামের সুচনা অনুষ্ঠান থেকে বার্তা দেন, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ক্রীড়াক্ষেত্র এবং নরেন্দ্র মােদি স্টেডিয়ামের সঙ্গে আমেবাদেরই নারায়ণপুর একটি ক্রীড়াঙ্গন তৈরি হবে। তাঁর কথায়, এই তিনটি জায়গা। মিলিয়ে যে কোনও আন্তর্জাতিক খেলা আয়ােজন করা যেতে পারে। হতে পারে অলিম্পিকও। আমেদাবাদ ভারতের ক্রীড়াশহর হিসেবে পরিচিতি পাবে ভবিষ্যতে।