ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটে সব খেলা খেলছে এখানকার স্টেডিয়ামে। যার ফলে রোহিত শর্মারা বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নাসের হোসেন ও মাইক আথারটনরা। তাঁদের অভিযোগ, সব দল যদি পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে পারে, তাহলে কেন ভারত সেখানে খেলবে না? দুবাইতে ভারত খেলছে, সেই কারণে সেখানকার উইকেটে বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে ভারতীয় দল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সে দেশে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি ভারত। যে কারণে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করেছে আইসিসি। ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে দুবাইয়ে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক আথারটন এবং নাসের ধারাভাষ্যের জন্য পাকিস্তানে গিয়েছেন।। সেই সময় নাসেরের উদ্দেশে আথারটন বলেন, “ভারত শুধু দুবাইয়ে খেলছে। এটা নিয়ে কী বলবে? আমার মনে হয় এই সুবিধা পাওয়াটা আটকানো যাবে না, কিন্তু অস্বীকারও করা যাবে না। ভারত একটা মাঠেই খেলছে। ওদের কোথাও যেতে হচ্ছে না। অন্য দলগুলোকে দুটো আলাদা দেশে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভারত জানে কোন মাঠে খেলবে। তাই ওরা সেটা মাথায় রেখে দল নির্বাচন করতে পেরেছে। ওরা এটাও জানে সেমিফাইনাল কোথায় খেলবে। আমার মনে হয়ে এটা সুবিধাটা অস্বীকার করা যাবে না। কতটা সুবিধা পাচ্ছে সেটা যদিও মাপা কঠিন।’
এদিকে এই অভিমত নিয়ে অনেকেই বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে হাইব্রিড প্রথা চালু হলেও খেলার মধ্যে তা রাখা উচিত নয়। সব দলই যদি একই জায়গায় খেলে, তাহলে ক্রিকেটারদের অনেক ভাবনা থাকে না। উইকেট দেখে দল গঠন করা তাদের সম্ভব হয়। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় খেলতে গেলে আবহাওয়ারও পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন খেলোয়াড়রাও মানসিক দিক দিয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন।
নাসের হোসেন মনে করেন, অবশ্যই ভারত সুবিধা পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা সত্যিই বাড়তি সুবিধা। প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল এই সুবিধা পাচ্ছে। সে দিন সমাজমাধ্যমে এমনই কথা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয় এই কথাটা খুব সত্যি। ওরা একটা জায়গায় রয়েছে। একই হোটেলে রয়েছে। কোথাও যেতে হচ্ছে না। একটাই সাজঘর। পিচও চেনা। দল নির্বাচনও করেছে, ওই পিচের কথা ভেবে। ওরা জানত দুবাইয়ে কেমন পিচ হবে। সেই অনুযায়ী দল নির্বাচন করেছে।
দলে সব স্পিনার নিয়েছে। আবার শোনা গেছে, ভারতীয় দলে এত স্পিনার কেন?
ইংল্যান্ড দলে স্পিনার হিসাবে ছিলেন শুধু আদিল রশিদ। ব্রাইডন কার্স চোট পাওয়ার পর রেহান আহমেদকে দলে নেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বুধবারের ম্যাচে খেলতে পারবেন না। সেই দিনই রেহান দলে যোগ দেবেন। পাকিস্তান দলেও স্পিনার শুধু আবরার আহমেদ। এই দলগুলি দুবাইয়ে খেলতে গেলে সমস্যা পড়া স্বাভাবিক। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে হেরেছে। ইংল্যান্ডের যদিও সেমিফাইনাল বা ফাইনালের আগে দুবাইয়ে খেলার প্রয়োজন হবে না। ভারতকে এত কিছু ভাবতে হচ্ছে না। তারা দুবাইয়ের কথা মাথায় রেখেই দল নির্বাচন করেছে। সেটাই বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে ভারতীয় দলকে। সেই কারণেই স্বচ্ছেন্দে রোহিত ব্রিগেড খেলতে পারছেন দুবাইয়ের মাঠে।