আগামী দু’মাসের মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিশেষ সাধারণ সভা ডাকতে চলেছে। খুব সম্ভবত এই সভা বসবে মার্চ মাসে মুম্বইতে। ওই সভাতেই বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া সচিব পদে মনোনীত হবেন। যার ফলে যুগ্ম সচিবের পদ খালি হয়ে যাবে। বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ার পরে অন্তর্বর্তীকালীন সচিব পদে দায়িত্ব পান অসমের দেবজিৎ শাইকিয়া। দেবজিৎ তখন যুগ্ম সচিব ছিলেন বিসিসিআইয়ের। যখন পুরো দায়িত্ব নিয়ে সচিব পদে তিনি বসবেন, স্বাভাবিকভাবে তাঁর শূন্যস্থান পূরণের জন্য খুব সম্ভবত ১ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভা বসবে। ওই সভাতেই যুগ্ম সচিবের বিষয়টি আলোচনা হবে এবং কে সচিব হবেন, তা নিয়ে জট হয়তো কেটে যাবে।
আগামী ১ মার্চ যে সাধারণ সভা ডাকা হচ্ছে, তাতে অবশ্যই যুগ্ম সচিবের বিষয়টি থাকছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১২ জানুয়ারির বিশেষ সাধারণ সভায় বোর্ডের সচিব হিসাবে মনোনীত হয়েছিলেন দেবজিৎ। একই সভায় নতুন কোষাধ্যক্ষ মনোনীত হয়েছিলেন প্রভতেজ সিংহ ভাটিয়া।
ইতিমধ্যেই বিসিসিআইয়ের নতুন যুগ্ম সচিব হিসাবে তিন জনের নাম ঘোরাফেরা করছে। এই তিন জনের মধ্যে এক জন দায়িত্ব পেতে পারেন। দৌড়ে রয়েছেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রাক্তন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া, দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহন জেটলি এবং মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঞ্জয় নায়েক। নতুন যুগ্ম সচিব বেছে নেওয়ার জন্য ভোটাভুটি হবে না।
বিশেষ সাধারণ সভা থেকে মনোনীত করা হবে। উল্লেখ্য, বোর্ড সচিবের পর যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন প্রশ্ন সিএবি’র পক্ষ থেকে অভিষেক ডালমিয়ার নাম পাঠানো হবে কি? তার প্রধান কারণ হল, বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সচিব ও সিএবি’র প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক খুব একটা ভালো জায়গায় নেই। সেই কারণে সৌরভ এবং বর্তমান সিএবি’র সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলির পছন্দের তালিকায় অভিষেকের নামে সিলমোহর পড়বে কি? যদি অভিষেকের নাম না পাঠানো হয়, সেক্ষেত্রে অন্য কারওর নামও সিএবি পাঠাবে না বলে মনে করা হচ্ছে।