অভিষেকের ফুটবল ক্লাব: ‘দমদার হারবার’-কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সেনাপতির

অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার বাস্তবায়ন হলো অবশেষে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নবগঠিত ফুটবল দল সম্প্রতি কলকাতা ফুটবলে নজর কেড়েছে।
ডায়মন্ড হারবার এফসি আইলিগ খেলছিল। সেখানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় ডিভিশন আইলিগে খেলার সুযোগ পেয়েছেন জবি জাস্টিন-নরহরি শ্রেষ্ঠারা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে এবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ফুটবল ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হল তৃতীয় ডিভিশনে। এরপরই নিজ এক্স হ্যান্ডেলে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন তৃণমূল সেনাপতি। তিনি লিখেছেন, ‘এই মরশুমে ডিএইচএফসি-এর  অসাধারণ পারফরম্যান্স এক অবিশ্বাস্য কীর্তি!
আমাদের সমস্ত সমর্থক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, আমাদেরকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করার জন্য। ডিএইচএফসি-কে ভারতের সমস্ত তরুণ ফুটবল প্রেমীদের কাছে আশার আলো এবং অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসাবে দেখার জন্য ধন্যবাদ।’ প্রসঙ্গত, মাত্র তিন বছর বয়স এই ফুটবল ক্লাবের। তার মধ্যেই নজির গড়ল অভিজ্ঞতাহীন এই ক্লাব। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে গড়া এই ক্লাব বুধবারই আই লিগ টু-তে জায়গা করে নিয়েছিল। কল্যাণীতে আই লিগ থ্রি-র প্লে-অফ পর্যায়ে পরপর তিনটি ম্যাচ জিতে ডায়মন্ড হারবার এই যোগ্যতা অর্জন করে, যা নিতান্তই প্রশংসনীয়।
এদিন চানমারি ফুটবল ক্লাবকে ১-০ গোলে হারায় ডায়মন্ড হারবার এফসি। একমাত্র গোল রাঘবের, ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায়। দ্বিতীয় ডিভিশন আইলিগে উঠলেও ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের চোখ ছিল তৃতীয় ডিভিশন আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকেই। এরপর তাদের টার্গেট কলকাতা লিগের সুপার সিক্স রাউন্ডের বাকি ম্যাচে জিতে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে প্রথমবার ট্রফি জয়। তাঁদের সাফল্যে আপ্লুত সাংসদ। গোটা দেশে একদিন এই দলের নাম করবে, এমনই আশা রেখেছেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, অভিষেকের ভাষায় ডায়মন্ড হারবার ক্রীড়া সহ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
তিনি ট্যুইটে আরও লিখেছেন, ‘ডায়মন্ড হারবার প্রতিটি ক্ষেত্রেই উৎকর্ষ সাধন করেছে।’ উদাহরণ হিসাবে অভিষেক দেখিয়েছেন, ‘আমাদের জনগণের সামগ্রিক উন্নয়নে ৭৫,০০০ জন প্রবীণ নাগরিককে বার্ধক্য ভাতা প্রদান, একদিনে ৫০,০০০টি কোভিড পরীক্ষা করা, অপরিকল্পিত লকডাউনের সময় ৩ লক্ষেরও বেশি পরিবারের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া, বা পুজোর উপহার বিতরণ করা। ডায়মন্ড হারবার মডেলের সত্যতা প্রমাণিত। সামনে আমাদের যাত্রা অব্যাহত!’ এরপরই নিজ লোকসভা কেন্দ্রের প্রভূত প্রশংসা করে অভিষেক লিখেছেন, ‘দমদার হারবার।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রথমবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হওয়ার পর থেকেই নিজ কেন্দ্রকে ঢেলে সাজানোর প্রয়াস করেছেন অভিষেক। গড়েছেন ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল।’ নিজ প্রয়াসে কতটা সফলতা তিনি পেয়েছেন, তার স্পষ্ট প্রমাণ চলতি বছরে ডায়মন্ড হারবারের লোকসভা ভোটের ফলাফল। এভাবেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ‘দমদার হারবার’কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।