এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোহনবাগানের সামনে শক্তিশালী দল

ভারতের একমাত্র ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এবারে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ‘এ’-তে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল। যা ইস্টবেঙ্গল পারেনি তা মোহনবাগান করে দেখাল। গত বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ইস্টবেঙ্গল হেরে গিয়েছিল ২-৩ গোলে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব এফসি অলটিন আসিরের কাছে। এরপরেই শুক্রবার গ্রুপ বিন্যাস হয়ে গেল। গ্রুপ ‘এ’-তে খেলার সুযোগ পেয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এই গ্রুপের অন্য দলগুলি হল কাতারের আল ওয়াক-রাহ এফসি, ইরানের ট্রাক্টর এফসি ও তাজিকিস্তানের এফসি রাভশান। এই গ্রুপের সব দলগুলিই বেশ শক্তিশালী। ফলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইটা কঠিন হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তখনই স্পষ্ট হবে মোহনবাগানের কাছে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে কিনা। সেই কারণে নকআউট পর্যায়ে খেলার জন্য মোহনবাগানের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স কথা বলবে।

এশিয়া ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় প্রধান টুর্নামেন্ট এফএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এবারে নতুন করে টুর্নামেন্টের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। গত মরশুমে আইএসএল ফুটবলে লিগ ও শিল্ড জয়ের সুবাদে সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়ে গেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। গত শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরে এএফসি হাউসে গ্রুপবিন্যাস হয়। সেখানে ২০২৩-২৪ মরশুমে এএফসি কাপে গ্রুপ পর্যায়ে তৃতীয় হয়েছিল মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। অবশ্য নকআউট পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। কিন্তু এবারে যে দলে দিমিত্রিয়স পেত্রাতোসের মতো ফুটবলার রয়েছেন, তাঁরা এবারে আশা করতেই পারেন ভালো পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করা। নতুন কোচ হোসে মোলিনাও চেষ্টা করবেন খেলোয়াড়দের সেইভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় তুলে আনা। তিনি আরও মনে করেন, এবারে দল যেভাবে তৈরি হয়েছে, তাতে অবশ্যই ভালো ফল আশা করা যেতেই পারে। খেলোয়াড়রাও ঐক্যবদ্ধ। তাই নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ে নতুন ধারা বইতে শুরু করেছে প্রত্যেকের মধ্যে।

এদিকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এশিয়া কাপ ফুটবলে তৃতীয় প্রধান টুর্নামেন্ট এএফসি চ্যালেঞ্জস লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আর এই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ বিন্যাস হবে আগামী ২২ আগস্ট। তবে, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২-এর তুলনায় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের খেলা অনেকটাই সহজ। প্রতিপক্ষ দলগুলি সেইভাবে শক্তিশালী হয় না। তবুও যে দলগুলি খেলুক না কেন, তাদের মধ্যে একটা লড়াকু মনোভাব থাকেই। তাই ইস্টবেঙ্গলকে তৈরি হতে হবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় তুলে আনা। অতীতে এএফসি কাপে শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল খেলেছিল। তাই লাল-হলুদ শিবিরের সমর্থকরা আশা করছেন এবারেও তাঁদের প্রিয় দল ভালো খেলে জয় তুলে আনবে।