ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল পদের সর্বোচ্চ পদ অর্থাৎ সভাপতির আসনে আসীন হবার পরেই সিএবির সভাপতি পদ থেকে সরে দাড়ানাের ইচ্ছা প্রকাশ করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে সেই পদত্যাগপত্র এখনও পর্যন্ত মজুর হয়নি। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য আইনের ব্যবস্থা রয়েছে।
যেহেতু বিসিসিআই-এর সভাপতি হওয়ার পরে সৌরভ গাঙ্গুলি কীভাবে প্রশাসন পরিচালনা করবেন সেই বিষয়ে নজর দিতে গিয়ে তাঁর পক্ষে সিএবি-তে থাকা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তবে জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে অ্যাকটিং সভাপতি হিসেবে সিএবিতে কাজ করবেন নরেশ ওঝা।
তবে এই মুহূর্তে কোনওভাবেই যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়াকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হবে কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসা চিহ্ন উকি দিতে শুরু করেছে। প্রয়ােজনে অন্য কোনও ব্যক্তিকে ওই পদে নিয়ে আসা হতে পারে। কিন্তু এখনই সিএবির কুকির্তারা এই বিষয়টা ভাবতে রাজী হচ্ছেন না। আগামী ২৫ নভেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হওয়ার পরে এই ব্যাপারে নজর দেওয়া হবে।
এদিকে সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, একটা সময় খেলোয়াড় হিসেবে দলকে সামাল দিয়েছে এবারে বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে কীভাবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে তা আমার জান আছে। কোন ফলাতে মাঠে ব্যাট করতে হয় আবার কীভাবে প্রশাসন পরিচালনা করতে হয় সেটা বুঝে নিতে অবশ্যই চেষ্টা করব। মন যেভাবে চাইবে সেইভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগিয়ে আসব।
২০১৫ সালে সিএবি-র সভাপতি জগমােহন ডালমিয়া প্রয়াত হওয়ার পরে সই শুন্যস্থানে বসেছিলেন সৌরভ। সেদিনও কিন্তু ৪৬ বছর বয়সেই যেভাবে পরিকল্পনামাফিক সিএবি চালিয়েছেন তাতে বুঝতে অসুবিধা হয়নি তিনি শুধু একজন ক্রিকেটারই নন, দক্ষ প্রশাসক-ও তিনি। তাই আমার কাছে বিসিসিআই-এর পদটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। যেভাবে খেলার সময় সবার সঙ্গে সব কথা শেয়ার করেছি ঠিক সেইভাবেই বিসিসিআই-এর প্রশাসনেও সবাইকে নিয়ে চলবার চেষ্টা করব। প্রয়ােজনে প্রাক্তনদের সাথেও কথা বলব।
গত ৪৫ বছরে কোনও ক্রিকেটার বিসিসিআই-এর সর্বোচ্চ পদ সভাপতি হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়নি তাই এই কাজটাও যে কঠিন তা জানা আছে সৌরভের। তবে ১৯৫৪ সালে বিজয় নগরের মহারাজ সভাপতি হয়েছিলেন বিসিসিআই-এর। সৌরভ যেমন খেলার সময় কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মােকাবিলা করেছেন তেমনি এবারেও বাের্ডের প্রতিটি কাজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে প্রমাণ করে দিতে চান একজন ক্রিকেটার ভালাে প্রশাসক হতে পারেন।