• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

চলতি মরশুমে প্রিমিয়র লিগে প্রতি দলে সাত ভিন রাজ্যের ফুটবলার খেলতে পারবেন

নিজস্ব প্রতিনিধি— গত বছর আইএফএ-র পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কলকাতা ফুটবল লিগে ভূমিপুত্রদের প্রাধান্য দেওয়া হবে৷ প্রথম ১১ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৭ জন খেলোয়াড়কে রাখতেই হবে৷ তবে প্রয়োজনে ভিন রাজ্যের খেলোয়াড়দের কথা ভাবা হতে পারে৷ কিন্ত্ত এবারে আগামী ২৫ জুন থেকে আইএফএ-র পরিচালনায় কলকাতা ফুটবল লিগ শুরু হচ্ছে৷ সেই কারণেই প্রিমিয়ার ডিভিশনে দলগুলি কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি— গত বছর আইএফএ-র পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কলকাতা ফুটবল লিগে ভূমিপুত্রদের প্রাধান্য দেওয়া হবে৷ প্রথম ১১ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৭ জন খেলোয়াড়কে রাখতেই হবে৷ তবে প্রয়োজনে ভিন রাজ্যের খেলোয়াড়দের কথা ভাবা হতে পারে৷ কিন্ত্ত এবারে আগামী ২৫ জুন থেকে আইএফএ-র পরিচালনায় কলকাতা ফুটবল লিগ শুরু হচ্ছে৷ সেই কারণেই প্রিমিয়ার ডিভিশনে দলগুলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বুধবার সচিব অনির্বাণ দত্ত, সহ সভাপতি সৌরভ পাল, স্বরূপ বিশ্বাস সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা৷ আলোচনার প্রথম থেকেই উঠে আসে তিন প্রধানের কথা৷ বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধি বাবু চক্রবর্তী বলেন, ইতিমধ্যেই দল গঠনের ব্যাপারে আমাদের বেশ কিছু ভিন রাজ্যের খেলোয়াড়ের সঙ্গে পাকা কথা হয়ে গিয়েছে৷ শুধু তাই নয় তাঁদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করানো হয়েছে৷ এই অবস্থায় কোনও ভাবেই ভূমিপুত্ররাই যে শুধু ফুটবল খেলবেন তা ভাববার কোনও অবকাশ নেই৷ এটা মনে রাখতে হবে কলকাতার তিন প্রধান সব সময় ম্যাচ জেতার জন্য মাঠে নামে৷

সমর্থকদের আবেগের কথা মনে রাখতে হবে৷ তাঁরা কখনওই দলের হার দেখতে মাঠে আসেন না৷ ইস্টবেঙ্গলের প্রতিনিধির সঙ্গে মোহনবাগান ও অন্যান্য দল সহমত পোষণ করেন৷ এমনকি খিদিরপুর ক্লাবের প্রতিনিধি অমিতাভ বিশ্বাস জোর গলায় বলেন, তিন প্রধান যদি ভালো দল গড়তে না পারে সেক্ষেত্রে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে৷ তাঁরা যদি কোনও ম্যাচে হেরে যায় সেক্ষেত্রে পরবর্তী খেলায় সেইভাবে দল গঠন করবে না৷ এমনকি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবে তারা খেলবে না৷ তাই ভূমিপুত্র বলে চিৎকার করে লাভ কি হবে? তিন প্রধান নাই খেলতে পারে সেক্ষেত্রে কলকাতা ফুটবলের কোনও ঐতিহ্যই থাকবে না৷ অনেক দলই প্রায় খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছে আগামী মরশুমের জন্য খেলবার জন্য৷ তখন অন্যান্য দলগুলির প্রতিনিধিরা সরব হয়ে ওঠেন৷ তাঁরা বলেন কোনও দলই হারতে চায় না৷ দল ভালো ভাবে তৈরি করার জন্য দীর্ঘ দিন আগে থেকে প্রস্ত্ততি নিয়ে থাকে৷ সেই অর্থে ভূমিপুত্র বলতে যা বোঝায় সেই সব ফুটবলারদের দেখা যায় না৷ কেউ জোর গলায় বলতে পারবেন না জেলাস্তর থেকে সেই ভাবে ফুটবলাররা উঠে আসছেন৷ আসলে সব পরিবারের অভিভাবকরা চান তাঁর সন্তানরা পড়াশুনো করে ভালো জায়গায় যাতে পেঁৗছায়৷ শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় অন্তত এই মরশুমের জন্য ভিন রাজ্যের ৭ জন খেলোয়াড় প্রথম একাদশে খেলতে পারবেন৷ আর ৪ জন অবশ্যই ভূমিপুত্র হতে হবে৷ তবে কয়েকটি দল বলেছে, তারা ভূমিপুত্র নিয়ে দল গঠন করবেন৷ এখানে প্রশ্ন ওঠে সার্ভিসেস দল যখন মাঠে নামে তখন সেই দলে কত জন ভূমিপুত্র আছে৷ সেই ভাবনাতেই সরব হন ক্লাব প্রতিনিধিরা৷ হয়তো অনেকে বলতে চাইবেন সন্তোষ ট্রফি ফুটবলে ভূমিপুত্ররা খেলেন৷ সেখানে বাংলার অবস্থা খুব একটা ভালো জায়গায় থাকে না৷ সেই কথা ভেবে কলকাতা ময়দানে শুধু ভূমিপুত্র বলে চিৎকার করলে হবে না৷

এদিকে একটি বেসরকারি সংস্থা কলকাতা ফুটবলে কয়েকটি খেলা নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট দিয়েছে এআইএফএ-র কাছে৷ তাঁরা অভিযোগ এনেছেন গড়াপেটার৷ কলকাতার প্রিমিয়র লিগে টালিগঞ্জ অগ্রগামী ও ওয়াড়ি দলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে৷ তখন এআইএফএ চিঠি দিয়ে আইএফএ-র কাছে জানতে চায় এই গটআপ-এর ব্যাপারে৷ মঙ্গলবার আইএফএ শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে এই দুই দলকে নির্বাসিত করা হয়েছে৷ তাদের তরফ থেকে কিছু না জানানো পর্যন্ত এই নির্বাসন বহাল থাকবে৷ আবার প্রিমিয়র ডিভিশনে যোগ্যতামান না থাকা সত্ত্বেও কোচ নির্বাচনের কারণে খিদিরপুরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ খিদিরপুর ক্লাবের প্রতিনিধি অমিতাভ বিশ্বাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আইএফএ-র কাছে আমরা প্রচুর টাকা পাই৷ প্রয়োজনে সেই অর্থ থেকে আইএফএ-র কাছে অনুরোধ করব যে পাওনা অর্থ থেকে জরিমানার টাকা কেটে নেওয়ার জন্য৷