• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার? সত্যি জানালেন কুণাল

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে পশ্চিমবাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন নৃত্যশিল্পী? মঙ্গলবার এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। বিবৃতি দিয়ে নৃত্যশিল্পীর দাবি, মামলা প্রত্যাহার করতে চাননি তিনি। তবে কিছু কারণবশত: বিষয়টি নিয়ে আর এগোতে চান না। এ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ‘ভুল’ ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও দাবি ওই নৃত্যশিল্পীর। দিল্লির তাজ হোটেলে আনন্দ

নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে পশ্চিমবাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন নৃত্যশিল্পী? মঙ্গলবার এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। বিবৃতি দিয়ে নৃত্যশিল্পীর দাবি, মামলা প্রত্যাহার করতে চাননি তিনি।

তবে কিছু কারণবশত: বিষয়টি নিয়ে আর এগোতে চান না। এ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ‘ভুল’ ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও দাবি ওই নৃত্যশিল্পীর। দিল্লির তাজ হোটেলে আনন্দ বোস ও নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে কী ঘটনা ঘটেছিল, তা ফাঁস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনিই জানান, “অভিযোগকারিণী নিজের বিবৃতি আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি তাঁর অনুরোধ রক্ষা করে তা সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছি। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছি।” কী রয়েছে সেই বিবৃতিতে?

অভিযোগকারিণীর দাবি, ‘ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-তে তাঁর ‘ভুল’ মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক (নাম নেওয়া হয়নি) আমাকে উদ্ধৃত করে পিটিআই-কে যা বলেছেন, তা আমি অস্বীকার করছি।’

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ জুলাই পিটিআই-য়ে এক খবর প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ছিল, ‘রাজভবন কলঙ্কিত করার জন্য কলকাতার সিপি, ডিসিপি-র বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত পদক্ষেপ করতে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক’। যেখানে লেখা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘২০২৪ সালের ১৭ জুন অভিযোগকারিণী বলেছেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই এবং তিনি তা প্রত্যাহার করতে চান। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তা করতে দিচ্ছে না।”

এই দাবি সত্য নয় বলেই জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী। তিনি রাজ্যপাল সংক্রান্ত বিষয়টি আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না। কারণ হিসেবে এদিনের বিবৃতিতে অভিযোগকারিণী জানান, “আমি আমেরিকার অন্যায় ও তাদের বিচারব্যবস্থার স্বৈরাচারের শিকার। সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং ভারত সরকারের কাছে বিষয়টি আটকে রয়েছে। আমি একজন অসহায় ভারতীয় হিন্দু বধূ। আমার বিরুদ্ধে আমেরিকার যে গুণ্ডামি, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা করছি।”

তাঁর আরও দাবি, তাঁর শরীরও খারাপ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল বোসের বিষয়টি নিয়ে তিনি আর এগোতে চাইছি না।