রক্ষাকবচ আছে বলে কি রাজ্যপাল যা খুশি করবেন: শশী

নিজস্ব প্রতিনিধি – রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠতেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ রাজ্যপাল এমন ঘৃণ্য কাজ করেছেন? এই প্রশ্নই বারংবার উঠে আসছে৷ শোরগোল শুরু হতেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক প্রশ্নবাণে রাজ্যপালকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য নেত্রী শশী পাঁজা৷ “গরিব বলে কি তাঁর ইজ্জত নেই? মেয়েটি কি বিচার পাবে না? সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে বলে কি রাজ্যপাল যা খুশি করে যাবেন? সংবিধানে কি লেখা আছে, দায়িত্ব পালনের নামে রাজ্যপাল তাঁর অধস্তন মহিলা কর্মীদের ওপর যৌন নিপীড়ন করতে পারেন?” এমনই একের পর এক প্রশ্ন রাজ্যপালের দিকে ছুঁড়ে দেন শশী৷

সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শশী৷ তাঁর বক্তব্য, “একটি মেয়ের শ্লীলতাহানি হয়েছে৷ এটা তো ক্ষমাযোগ্য নয়৷ এটার বিহিত হওয়া দরকার৷ এতে কোনও চেয়ার (পদ) অভিযুক্তকে রক্ষাকবচ দিতে পারে না৷ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সবাই এত সরব ছিল৷ এখন সবাই কোথায়? আমরা তো কখনও বলিনি, সন্দেশখালিতে কিছু হয়নি৷ এখন যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও মানুষের মুখ খোলা দরকার৷ এ সবের জন্য বাংলার বদনাম হচ্ছে৷ বাইরে থেকে এসে বাংলাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে৷ সন্দেশখালিতে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নারীদের অসম্মান করা যায় না৷ আপনি যাঁদের অভিযোগ শুনেছিলেন, তাঁরা কি জানেন আপনার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে৷” তাঁর আরও সংযোজন, “রাজ্যপালের চেয়ারের (পদ) একটা গরিমা থাকে৷ উনি সেই চেয়ারের সম্মানকে নষ্ট করলেন৷ চেয়ারের সুযোগ নিয়ে উনি নোংরা কাজ করবেন, আর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, এটা বাংলা বরদাস্ত করবে না৷ আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি৷” সম্পূর্ণ ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছেন শশী৷ এদিন শশী পাঁজা বলেন, “সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপালের কাজকর্ম নিয়ে কর্মরত থাকাকালীন কোনও প্রশ্ন তোলা যায় না৷ কিন্ত্ত শ্লীলতাহানির ঘটনা কীভাবে তাঁর দায়িত্ব কর্তব্যের অংশ হতে পারে?”