নিজস্ব প্রতিনিধি– তৃণমূল সেনাপতির টার্গেটে এবার বিষ্ণুপুর৷ বৃহস্পতির দুপুরেই পাড়ি দিলেন বিষ্ণুপুরের বড়জোড়ায়৷ বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সুজাতা মন্ডলের সমর্থনে বেলিয়াতোড় হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভা থেকে দফায় দফায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আক্রমণ শানান বিজেপিকে৷ কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে৷ সৌমিত্রের দিকে ছুঁড়ে দেন একের পর এক চ্যালেঞ্জ৷ অভিষেক অস্ত্র হিসেবে বেছে নেন লক্ষীর ভান্ডারকে৷ বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, “এখানের বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ খন্ডকোষে গিয়ে সভা করে বলেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে নাকি ৩০০০ টাকা করে লক্ষীর ভান্ডার দেবে৷ পায়ের নখ থেকে মাথার চুল সব মিথ্যে! আমি কেন বলছি? বিজেপি যতগুলো রাজ্যে ক্ষমতায় আছে তার মধ্যে যদি একটা রাজ্যের প্রত্যেক মায়েদের লক্ষ্মীর ভাঁণ্ডার দিতে পারে তাহলে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় রাজনীতি করবে না৷” এবার নয়া চ্যালেঞ্জ যুবরাজের৷ প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকার আর্জি, সেখানে দাঁড়িয়েই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানান অভিষেক৷ বিষ্ণুপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নাকি এখানে সভা করতে আসছেন৷ আমি বলবো সেই মঞ্চে আমাকে ডাকা হোক৷ আমি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাবো৷” এরপরই সৌমিত্রের দিকে আঙ্গুল তুলে অভিষেক বলেন, “একদিকে তুমি তোমার তথ্য নিয়ে এসো, আমিও আমার তথ্য নিয়ে যাবো৷ আমি সামনাসামনি কথা দিয়ে যাচ্ছি, রিপোর্ট কার্ড নিয়ে লড়াই হোক৷” প্রধানমন্ত্রীর এখনও শ্বেতপত্র প্রকাশ না করা নিয়েও সরব হন অভিষেক৷ তিনি আরও বলেন, “আমি আবারও সবাইকে সাক্ষী রেখে বলে যাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী আসছেন তো৷ তিনি যদি প্রমাণ করতে পারেন ২০২১ এর পর বাংলার আবাসের জন্য এক পয়সা ছেড়েছেন তাহলে আমি রাজনীতি থেকে বিদায় নেবো৷”
এদিন স্ত্রী সুজাতার প্রসঙ্গ টেনেও সৌমিত্রকে খোঁচা অভিষেকের৷ তিনি বলেন, “সৌমিত্র খাঁকে হাইকোর্ট ২০১৯ এ বাঁকুড়ায় ঢুকতে দেয়নি৷ প্রচার করেছিলেন সুজাতা৷