উত্তরপ্রদেশের জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে শনিবার। এই নির্বাচনে ৭৫ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৬৭ টি আসন। সমাজবাদী পার্টি পায় ৬ টি আসন। বাকি দুটি আসনে জয়লাভ করে অন্যান্যরা।
এমনই এক সময়ে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আগামী দিনে আম আদমি পার্টি এক হয়ে ভােটে লড়বে কিনা সেই জল্পনাই তৈরি করে দিল অখিলেশ সিং যাদব।
রবিবার একটি ছবি পােস্ট করা হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অখিলেশ যাদব আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে। যদিও সঞ্জয় সিংয়ের দাবি জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ও বিজেপি’র দমননীতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলােচনা হয়েছে।
আগামী বছরই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে যে দল ভালাে ফল করে, দিল্লির রাজনীতিতে তার গ্রহণযােগ্যতা বাড়ে। ফলে হাইভােল্টেজ এই ম্যাচের আগে ঘর গােছাতে মরিয়া সব পক্ষ। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী দল হল সমাজবাদী পার্টি।
সম্প্রতি শােনা গিয়েছিল, মায়াবতীর দল বহুজন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে অখিলেশের দলের যােগ হতে পারে। কিন্তু দুই দলের তরফে এই খবর ভুয়াে বলে জানানাে হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির তরফে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের জোট হবে না। ঠিক এমনই পরিস্থিতিতে জোটের জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন অখিলেশ নিজেই। তবে, কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, আম আদমি পার্টির সঙ্গে।
এদিকে, জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি’র ভালাে ফলকে কটাক্ষ করে অখিলেশ বলেছেন, ‘নিজেদের হারকে জয়ে পরিণত করতে বিজেপি ভােটারদের অপহরণ করেছে। পুলিশের সাহায্য নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে এবং ভােটারদেরকে ভােট দিতে বাধা দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সমস্ত নিয়মকে উপহাসে পরিণত করেছে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। শুধু ভােটারই নয়, একাধিক সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের অপহরণ করা হয়েছে। সমাজবাদী দলের সদস্য অরুণ রাওয়াতকে লখনউ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।’
এখানেই থামেননি অখিলেশ। তাঁর আরও অভিযােগ, তাঁর দলের প্রার্থী বিজয়লক্ষ্মীকেও জেলাশাসকের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এবং তার স্বামী তথা বিধায়ক অরিশ পুষ্করকেও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বিজেপি রিগিং করে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই রিগিংয়ের ফল হাতেনাতে পাবে বিজেপি। সাধারণ মানুষ এর যােগ্য জবাব দেবে।