• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘নাসিক কেন? বাংলার চাষিদের কাছে পেঁয়াজ কিনুন,’ ব্যবসায়ীদের কে মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এপার বাংলার উৎপাদিত পেঁয়াজ ওপার বাংলা (বাংলাদেশ) চলে যাচ্ছে। অথচ নাসিক থেকে বেশি দাম দিয়ে বাংলার জন্য পেঁয়াজ কিনে আনছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।সবজির আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এদিন নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্যের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আপনারা নাসিক

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এপার বাংলার উৎপাদিত পেঁয়াজ ওপার বাংলা (বাংলাদেশ) চলে যাচ্ছে। অথচ নাসিক থেকে বেশি দাম দিয়ে বাংলার জন্য পেঁয়াজ কিনে আনছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।সবজির আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এদিন নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্যের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আপনারা নাসিক থেকে কিনলে কি বেশি কমিশন পান? কেন নিজের রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনছেন না?”খানিক থেমে পরামর্শের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নাসিক থেকে পেঁয়াজ আনা বন্ধ করুন।

আমাদের রাজ্যে ‘সুখসাগর’ পেঁয়াজ তৈরি হয়। সেটা যথেষ্ট উন্নতমানেরও। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ চাষিদের জন্য রাজ্যে চার হাজার পেঁয়াজের গোলাও তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।একসময় ডিমের জন্য বাংলাকে অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর নির্ভর করতে হত। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ডিমের জন্য বাংলাকে আর অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ওই প্রসঙ্গ টেনে এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনলে চাষিরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তেমনই পেঁয়াজের দিক থেকে বাংলাকেও অন্য রাজ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না।মমতা এও বলেন, “আমার রাজ্য থেকে পেঁয়াজ বাইরে বাংলাদেশে চলে যাবে, সে যাক, আপত্তি নেই কিন্তু আমাদের চাহিদা মেটানোর পরে তবে তো যাবে। এগুলো দেখা হচ্ছে না কেন কৃষি দফতর কী করছে?” অবিলম্বে সীমান্তে নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।