‘বিচার চাই’ বলে পথে কেন তৃণমূল ? ‘আত্মসমালোচনা’ কুণালের ; পাল্টা শমীক ভট্টাচার্য

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় বিরোধী ও নাগরিক সমাজের পাশাপাশি বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। শাসকদলের এই পদক্ষেপের জন্য এবার রাজ্য প্রশাসককেই দুষলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণালের এই ‘আত্মসমালোচনা’ প্রকাশ্যে আসার পর কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতার কাছ থেকে কুণালকে উত্তর চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন কুণাল । সেখানে লেখেন, ‘নাগরিকদের মিছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের মূল দাবি আমিও সকলের মতোই সমর্থন করি। বিচার চাই। প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে মানুষ ভুল বুঝেছেন। সেখান থেকে বিরুক্তি, অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলেই নাগরিকদের পথে নামতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপে এই পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্বও সরকারের। প্রশাসন এমন কোনও কাজ করবে কেন যে অবস্থা সামলাতে শাসক দলকেও বিচার চাই বলে কর্মসূচি নিতে হবে ? তাও দলের সবাই সমানভাবে নামেন না।’ পাশাপাশি তাঁর দাবি, নাগরিক কর্মসূচির বিরোধিতা বা পাল্টা কর্মসূচি করার কোনও প্রশ্নই নেই ।

‘আত্মসমালোচনা’ প্রয়োজন বলে মনে করে এদিন একযোগে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একহাত নেন কুণাল। নাগরিকদের আবেগকে ব্যবহার করে এই সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ‘কুরাজনীতি’ করছে বলে এদিন অভিযোগ করেন তিনি । পাশাপাশি ফের ‘সুবিধাবাদি’দের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কুণাল। তাঁদের অবস্থান সমালোচনার মতো বলেই মনে করেন এই তৃণমূল নেতা ।


আর জি করের ঘটনায় নাগরিক সমাজের প্রশ্ন তোলার অধিকার আছে বলেই মনে করেন কুণাল। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপের বিরোধীতা করা উচিত নয় । তবে বিরোধীদের ‘কুরাজনীতি’ নিয়ে এদিন সরব হয়েছেন তিনি।

এদিন কুণাল আরও লেখেন, ‘আমি আমার অবস্থানে প্রথম দিন থেকে স্পষ্ট। দোষী/দের চরম শাস্তি হোক। যদি কেউ/কারা আড়াল করে থাকে, চিহ্নিত হোক, শাস্তি হোক। এনিয়ে নাগরিক আন্দোলন সমর্থনযোগ্য। কিন্তু বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক ইভেন্টের ফাঁদে পা দেবেন না। আমাকে যে যা খুশি বলতে পারেন।’

কুণালের কয়েকটি কথায় সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য । কুণাল তাঁর প্রশ্নের জবাব একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই পেতে পারেন বলে মনে করেন শমীক। তিনি বলেন, ‘কুণালবাবু কি ‘দিদিকে বলো’র নম্বরটা হারিয়ে ফেলেছেন? ফোনটা সেখানে না-করে সমাজমাধ্যমে এ সব লিখছেন কেন? জবাব পাওয়ার হলে তো ওখান থেকেই পাবেন।’