নিজস্ব প্রতিনিধি– শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি বিষয়ক মামলা।কেন্দ্রীয় বাহিনীর কারণে পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে । গত বুধবার অন্য এক মামলায় আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, -‘ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের ক্ষতি করে কোনও কিছু করা যাবে না’। কিন্তু এখনও বহু জায়গাতেই বাহিনী থেকে গেছে বলে জানা গেছে।শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে এমন স্কুল গুলির হিসেব চাইল, রাজ্যে কোন স্কুলে কত বাহিনী রয়েছে? আগামী ১৮ জুন কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষই এর রিপোর্ট জমা দেবে।এই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের।ভোট পরবর্তী অশান্তি রুখতে নির্বাচনের পরও বেশ কয়েকদিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে তার জন্য স্কুলের পড়াশোনায় সমস্যা হোক, এমনটা মোটেই চাইছে না হাইকোর্ট। তবে এদিনকার শুনানির পরে স্কুল ও কলেজ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি হাইকোর্ট। কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত, সেই খতিয়ানই চেয়েছে । রাজ্য, কেন্দ্র বা আবেদনকারী কেউই সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি। আগামী ১৮ জুন জানানোর পরে, তবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন হাইকোর্টে আবেদনকারীর তরফে সওয়াল করা হয়, -‘লোকসভা নির্বাচনের পরেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গেছে। এদিকে ১০ জুন গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হয়ে গেছে। এরফলে প্রতিষ্ঠান গুলির ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে’। এদিন কেন্দ্র কলকাতা হাইকোর্ট কে জানায়,-‘ ৪০০ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ২৫১ কোম্পানি বিভিন্ন স্কুল কলেজ আছে। রাজ্যে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা হলে বাহিনী সরে যাবে’।বিচারপতি জানান, -‘আগামী ১৮ জুন পরবর্তী শুনানি হবে এই মামলার। সেদিনই জানাতে হবে, রাজ্যে কোন স্কুলে কত বাহিনী রয়েছে?’