• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

খড়্গপুরে জলের পাইপ কেলেঙ্কারি, জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের

অভিষেক রায়, খড়গপুর, ২৪ জুন :  খড়গপুরে প্রথম কংসাবতী জল প্রকল্পের পুরনো কাস্ট আয়রন জলের পাইপলাইন কোনও টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকার কাউন্সিলর ফিদা হোসেন এবং তার দাদা ফিরদৌস হোসেনের বিরুদ্ধে । সোমবার এই মর্মে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর নাফিসা খাতুনের স্বামী মহম্মদ আনিস রহমান।

অভিষেক রায়, খড়গপুর, ২৪ জুন :  খড়গপুরে প্রথম কংসাবতী জল প্রকল্পের পুরনো কাস্ট আয়রন জলের পাইপলাইন কোনও টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকার কাউন্সিলর ফিদা হোসেন এবং তার দাদা ফিরদৌস হোসেনের বিরুদ্ধে । সোমবার এই মর্মে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর নাফিসা খাতুনের স্বামী মহম্মদ আনিস রহমান। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে খড়্গপুরের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।

দৈনিক স্টেটসম্যান-এ সোমবার খড়্গপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেবলপুরে পুরনো কাস্ট আয়রন জলের পাইপলাইন পুরসভাকে অন্ধকারে রেখে কোনও টেন্ডার ছাড়াই তুলে ফেলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। গত ২৯ শে ফেব্রুয়ারি এই মর্মে পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষকে লিখিত চিঠি দেন সাবির আহমেদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। লোকসভা নির্বাচনের সময়কালে এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে পারেনি পুরসভা। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর ফের এই পাইপ লাইন বিক্রির বিষয়টি সামনে উঠে আসে। সোমবার সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর আনিস রহমান লিখিত অভিযোগ জানান। আনিস বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসককে জানিয়েছি, এলাকার কাউন্সিলর ফিদা হোসেন এবং তার দাদা ফিরদৌস হোসেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। উপযুক্ত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। না হলে খড়্গপুরে দলের সুনামে কালি লাগবে। এই একই অনুরোধ তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা, পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ, উপপুরপ্রধান তৈমুর আলী খানকেও জানিয়েছেন।

অন্যদিকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিদা হোসেন বলেন, পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ। আমি এই কাজের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নেই। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। নির্দল কাউন্সিলর হিসেবে জয়ী হয়ে আমি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিই। সেই সময় থেকেই আমাকে লোকের সামনে নিচু করে দেখানোর জন্য এরা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমি এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলব না। কারণ তাহলে নিজের দলের বিরুদ্ধেই কথা বলা হয়ে যাবে। আমি বিষয়টি যথাযথ স্থানে জানিয়েছি।

উপপুরপ্রধান তৈমুর আলী খান বলেন, জেলাশাসকের অফিসে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলাম । অভিযোগ হাতে পাইনি।